Date: February 22, 2025

দৈনিক বজ্রশক্তি

Header
collapse
...
Home / সারাদেশ / ঢাকা / সালথায় গোপনে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করছেন কৃষকলীগ সভাপতি

সালথায় গোপনে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করছেন কৃষকলীগ সভাপতি

February 15, 2025 02:58:14 PM   উপজেলা প্রতিনিধি
সালথায় গোপনে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করছেন কৃষকলীগ সভাপতি

সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের সালথায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ৫ আগস্টের পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন। বিশেষ করে যাদের বিরুদ্ধে অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে, তারা গা ঢাকা দিয়েছেন। তবে অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মো. সেলিম মোল্লা আত্মগোপনে থেকেও আওয়ামী লীগকে গোপনে সংগঠিত করছেন, যা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। অনেকে আশঙ্কা করছেন, এর ফলে বড় ধরনের সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে।

জানা গেছে, একসময় জাসাসের নেতা হিসেবে পরিচিত সেলিম মোল্লা পরবর্তীতে আসাফোর নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর তিনি রাজনৈতিক কৌশলে বিভিন্ন সুবিধা আদায় করতে থাকেন। আওয়ামী লীগের ক্ষমতাসীন অবস্থায় দলটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলে উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতির পদ বাগিয়ে নেন। অভিযোগ রয়েছে, সাবেক সংসদ সদস্য শাহাদাব আকবর লাবু চৌধুরীর আশীর্বাদে তিনি প্রায় ১০ লাখ টাকার টিআর ও কাবিখার বরাদ্দ পান, তবে কোনো কাজ না করে তা আত্মসাৎ করেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেলিম মোল্লা আত্মগোপনে চলে যান। ফেসবুক প্রোফাইল পরিবর্তন, সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্কিত ছবি সরিয়ে ফেলা এবং চেহারা আড়াল করতে দাড়ি রাখা ও পোশাক পরিবর্তনের মতো কৌশল অবলম্বন করেন। কিন্তু গোপনে তিনি আবারও আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার কাজ শুরু করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন এবং কিছু কর্মী তার নির্দেশে এলাকায় লিফলেট বিতরণও করেছে। এতে উপজেলা জুড়ে সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

সালথা উপজেলা জামায়াতে ইসলামী সদস্য ও প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য মিয়া মো. লিয়াকত হোসেন বলেন, “সেলিম মোল্লা আমাকে প্রেসক্লাব থেকে বহিষ্কারের হুমকি দিয়েছিল। সে কথায় কথায় জামায়াত-শিবির বলে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা ও হামলার হুমকি দিত। এখন সে আত্মগোপনে রয়েছে।”

সালথা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক মানবজমিনের প্রতিনিধি চৌধুরী মাহমুদ আশরাফ (টুটু) বলেন, “সেলিম মোল্লা একজন ধুরন্ধর ব্যক্তি। তিনি প্রেসক্লাবের নির্বাচনেও পবিত্র ধর্মগ্রন্থ স্পর্শ করিয়ে কমিটি গঠন করেছিলেন। তার মতের বিরুদ্ধে গেলে ভয়ংকর হয়ে উঠতেন। তিনি সাংবাদিক পরিচয় ব্যবহার করে নিজেকে রক্ষা করতেন এবং বিভিন্ন অপপ্রচার চালাতেন।”

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী এমদাদ আলী (খসরু) বলেন, “সেলিম মোল্লা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে হয়রানি করেছেন। এখন তিনি গোপনে দলকে সংগঠিত করে বড় ধরনের সহিংসতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন। আমরা সতর্ক রয়েছি এবং কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে ছাড় দেওয়া হবে না।”

এ বিষয়ে জানতে সেলিম মোল্লার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। তার গ্রামের বাড়িতেও গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল, নগরকান্দা) আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন, “এ ধরনের কোনো তথ্য আমাদের জানা নেই। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”