স্থাস্থ্য ডেস্ক:
কিডনির অসুখ নিয়ে হেলাফেলা করার সুযোগ নেই। কারণ শরীরের এই অংশ নষ্ট হলে তা মরণঘাতি হয়ে ওঠে। আপনার ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনির অসুখের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে বা আপনার বয়স ৬০ বছরের বেশি হলে এবং কিডনি রোগের ঝুঁকি থাকতে পারে। তাই প্রতি বছর কিডনি পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকদের মতে, আপনার শরীরে যদি এই লক্ষণগুলো দেখা দেয়, সাবধান হোন, হয়তো আপনার অজান্তেই কিডনি বিকল হচ্ছে।
কোন সাধারণ লক্ষণগুলো দেখলে কিডনির অসুখের বিষয়ে সতর্ক হবেন-
১) সারাক্ষণ ক্লান্তিভাব
কিছুতেই ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করছে না, কাজ করার নাম শুনলেই গায়ে জ্বর আসছে— এই সব উপসর্গকে অবহেলা করবেন না। কাজকর্মের উদ্যম হারিয়ে ফেলা, বৃক্কের সমস্যার অন্যতম প্রধান লক্ষণ। বৃক্কের মূল কাজই হল রক্তকে পরিশুদ্ধ করা। কাজেই কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করলে রক্তে বিষাক্ত উপাদানগুলো বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলে শরীরে ক্লান্তি ভাব আসে।
২) ত্বকের সমস্যা
শরীরের লবণ ও প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থের ভারসাম্য রক্ষা করা কিডনির কাজ। ত্বকের জেল্লা বজায় রাখতে ও হাড়ের স্বাস্থ্যরক্ষায় এই উপাদানগুলো বড় ভূমিকা থাকে। কিডনি বিকল হতে শুরু করলে শুষ্ক খসখসে ত্বক, ত্বকের ঘা, চুলকানি ও হাড়ের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৩) অনিদ্রা
কিডনি ঠিকঠাক না কাজ করলে মূত্রের মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য পদার্থগুলো দেহের বাইরে বেরোতে পারে না। এটি অনিদ্রার অন্যতম কারণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত মানুষদের ঘুম না আসার সমস্যা সুস্থ মানুষদের তুলনায় অনেক বেশি।
৪) মূত্রের সমস্যা
বার বার প্রস্রাবের বেগ আসছে মানেই যে ডায়াবেটিস, এমনটা কিন্তু নয়। কিডনির অসুখেরও লক্ষণ হতে পারে এটি। বিশেষত রাতে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশিবার মূত্রত্যাগ করতে উঠলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। মূত্রের সঙ্গে রক্তপাত বা মূত্রে অতিরিক্ত ফেনা হওয়াও কিডনি নষ্টের উপসর্গ।
৫) পা ফুলে যাওয়া
কিডনির সমস্যায় রক্তে সোডিয়ামের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। এর ফলে পায়ের পাতা, গোড়ালি ফুলে যায়। বার বার প্রস্রাবের কারণে শরীরে পানির ঘাটতি হয়, তাই হাঁটতে গেলে পেশিতেও মাঝেমধ্যেই টান পড়ে।