ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান বাহিনীর হামলায় আহত ৩ হাজারেরও বেশি শিশুর মধ্যে অন্তত ১ হাজার জনকে চিকিৎসাসেবা দেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত। মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের এ দেশটির প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান বুধবার এই ঘোষণা দিয়েছেন।
আমিরাতের জাতীয় দৈনিক দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, বুধবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ এবং বৈশ্বিক মানবিক সহায়তা সংস্থা রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির প্রেসিডেন্ট মিরজানা স্পোলজারিকের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই ঘোষণা দিয়েছেন শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।
ঘোষণায় তিনি বলেছেন, এই এক হাজার শিশুকে গাজা থেকে নিয়ে আসা থেকে শুরু করে চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যয় বহন করবে আমিরাতের সরকার। এই শিশুদের পরিবারের সদস্যদেরও নিয়ে আসা হবে।
মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে বর্তমানে যে সংঘাত চলছে, তাকে ১৯৫৩ সালের পর ওই অঞ্চলে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ বলে জানিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি বিশ্লেষকরা। গত ৭ অক্টোবর হামাসের অতর্কিত হামলার মধ্যে দিয়ে সূত্রপাত ঘটে এই যুদ্ধের।
সেদিন ভোরে গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে ইসরায়েলে প্রবেশ করে কয়েকশ প্রশিক্ষিত হামাস যোদ্ধা এবং নির্বিচারে গুলি চালিয়ে শত শত বেসামরিক ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে হত্যার পাশাপাশি ২৩৪ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যায়। এই জিম্মিদের মধ্যে ১৩৮ জনই বাইরের বিভিন্ন দেশের নাগরিক। গত কয়েক দিনে ৫ জন জিম্মিকে মুক্তিও দিয়েছে হামাস।
এদিকে হামাস হামলা চলানোর পর ওই দিন ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী, যা এখনও চলছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা বর্ষণে উপত্যকায় নিহত হয়েছেন গাজায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৮ হাজার ৫২৫ জন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ২১ হাজার ৫৪৩ জন। হতাহত এই ফিলিস্তিনিদের অধিকাংশই নারী-শিশু ও বেসামরিক লোকজন।