ইউক্রেনের ডনবাস প্রদেশের বাখমুত শহর নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে আছে রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ। বর্তমানে শহরটির ভেতর ঢুকে পড়েছেন কিছু সেনা। এছাড়া শহরটি চারদিক দিয়ে ঘিরেও ফেলা হয়েছে। দীর্ঘ ৮ মাস ধরে বাখমুত দখলে অব্যাহত চেষ্টা করে যাচ্ছিল তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন শুক্রবার (৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাখমুতে থাকা ইউক্রেনীয় ড্রোন ইউনিটকে ইতোমধ্যে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাখমুতের পাশের শহর চাসিভ ইয়ারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজও উড়িয়ে দিয়েছে রুশ বাহিনী। যেটি বাখমুত-চাসিভ ইয়ারের মধ্যে রসদ সরবরাহের প্রধান পথ ছিল। শুধু তাই নয়, এ ব্রিজ উড়িয়ে দেওয়ার কারণে বাখমুতে থাকা বেসামরিক মানুষ ও যুদ্ধাস্ত্র নিয়েও সহজে বের হতে পারবে না ইউক্রেনীয় বাহিনী। এখন তাদের ব্যবহার করতে হবে কর্দমাক্ত মাঠ।
বাখমুতে মোতায়েনকৃত ইউক্রেনের বিশেষ বাহিনীর এক সেনা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে ব্রিজটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে রুশ বাহিনী। এতে ব্রিজের বড় একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অপরদিকে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন শুক্রবার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। সেই ভিডিওতে তিনি বলেছেন, বাখমুত এখন ‘কার্যত ঘিরে ফেলা হয়েছে।’ তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তিনি যেন নিজ সেনাদের প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। কারণ বর্তমানে ইউক্রেনীয় সেনাদের বাখমুত ছাড়ার জন্য মাত্র একটি পথই খোলা আছে।
তবে ইয়েভগিনি প্রিগোজিনের এ দাবির সত্যতা যাঁচাই করতে পারেনি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
এদিকে বাখমুতকে রক্ষায় সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল ইউক্রেনের সেনারা। কিন্তু রুশ বাহিনীর তীব্র হামলার মুখে আপাতত বাধ্য হয়ে তাদের সরে যেতে হচ্ছে। বাখমুত দখলে রুশ বাহিনী এতই হামলা চালিয়েছে যে, শহরটির বেশিরভাগ ভবন ইতোমধ্যে ধসে গেছে।