ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি জানিয়েছেন, রাতব্যাপী চালানো তাদের বিমান হামলায় হামাসের এক শীর্ষ কমান্ডার নিহত হয়েছেন।
নিহত ওই কমান্ডার হামাসের রকেট বাহিনীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কর্মকর্তা ছিলেন বলে জানিয়েছেন হাগারি। তিনি বলেছেন, ‘আমরা গাজা উপত্যকায় হামলা থামাচ্ছি না। রাতভর চালানো হামলায় হামাসের রকেট বাহিনীর উপ-কমান্ডারসহ বেশ কয়েকজন সদস্য নিহত হয়েছেন।’
এছাড়া স্থল হামলার আগে গাজায় বিমান হামলার তীব্রতা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ইসরায়েলের বর্তমান লক্ষ্য হলো— বিমান হামলা চালিয়ে হামাসকে যতটা সম্ভব দুর্বল করে দেওয়া। যেন যখন গাজার ভেতর তাদের সেনারা প্রবেশ করবে তখন তারা কম ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়।
তিনি বলেছেন, ‘যুদ্ধের পরবর্তী ধাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে, সেনাদের উপর হুমকি কমাতে আমরা গাজায় হামলার তীব্রতা বাড়াচ্ছি।’
প্রতিরক্ষা বাহিনীর এ মুখপাত্র আরও বলেছেন, ‘রাজনৈতিক পর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আইডিএফের জন্য সবচেয়ে ভালো পরিস্থিতি যখন সৃষ্টি হবে তখন আমরা যুদ্ধের পরবর্তী ধাপে (স্থল হামলা) যাব।’
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অবৈধ বসতিগুলো লক্ষ্য করে বড় ধরনের হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। বলা হচ্ছে গত ৫০ বছরে ইসরায়েলে এমন হামলা করতে পারেনি ফিলিস্তিনিরা। নজিরবিহীন সেই হামলায় ১৪০০ ইসরায়েলি নিহত হয় এবং ২শ জনের মতো ইসরায়েলিকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ওই হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলি বাহিনী দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে অব্যাহতভাবে গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের এসব হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে হামাসের কয়েকজন যোদ্ধা ও কমান্ডারও রয়েছেন।