ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে হামাসের হাতে আটক ৬০ জনেরও বেশি বন্দি নিখোঁজ হয়ে গেছেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিমান হামলার কারণে নিখোঁজ হয়েছেন তারা। হামাসের সশস্ত্র শাখা একথা জানিয়েছে।
গত মাসে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলার পর দুই শতাধিক মানুষকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। রোববার (৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৬০ জনেরও বেশি বন্দি নিখোঁজ হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সশস্ত্র শাখা শনিবার জানিয়েছে। এর আগে গত মাসের শেষের দিকে হামাস বলেছিল, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় তাদের হাতে বন্দিদের মধ্যে আনুমানিক ৫০ জন নিহত হয়েছেন।
ইজ এল-দ্বীন আল-কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা হামাসের টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে বলেছেন, নিখোঁজ ৬০ জন ইসরায়েলি বন্দির মধ্যে ২৩ জনের মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে। তিনি বলেন, গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ক্রমাগত নৃশংস আগ্রাসনের কারণে আমরা কখনোই তাদের কাছে পৌঁছাতে পারব না বলে মনে হচ্ছে।
রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে হামাসের এই বিবৃতিটি যাচাই করতে পারেনি। এছাড়া ইসরায়েলি সেনাবাহিনীও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। এদিকে হামাসের হাতে আটক বন্দিদের খোঁজে যুক্তরাষ্ট্র গাজার ওপর নজরদারি ড্রোন ওড়াচ্ছে বলে গত বৃহস্পতিবার দুই মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র ধর্মীয় স্থান আল-আকসা মসজিদের পবিত্রতা লঙ্ঘন এবং অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের অত্যাচারের জবাব দিতে গত ৭ অক্টোবর ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ নামে একটি অভিযান চালায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।
হামাসের এই হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৪০০ ইসরায়েলি। নিহতদের মধ্যে ২৮৬ জন সেনাসদস্য রয়েছে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে। হামাসের হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৪ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি। এছাড়া সেনা কর্মকর্তা ও সৈনিকসহ আরও ২৩৯ জনকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস।
হামাসের হাতে আটক বিপুল এসব বন্দির মধ্যে ইসরায়েলি-আমেরিকান দ্বৈত নাগরিকও রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু নিজেও ইতোমধ্যেই গাজায় আটক সব বন্দির নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন।
যদিও কাতারের মধ্যস্ততায় এখন পর্যন্ত চারজন বেসামরিক নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে হামাস।