গাজার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় উপত্যকায় শুরু হওয়া ইসরায়েলের বোমা হামলা অব্যাহত থাকলে, প্রতিরোধ বাহিনীকে কেউই থামাতে পারবে না। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অবিলম্বে ইসরায়েলি হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে মঙ্গলবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এই হুমকি দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, যদি ইহুদিবাদী (ইসরায়েল) শাসকগোষ্ঠীর অপরাধ অব্যাহত থাকে, তাহলে মুসলিমদের ও প্রতিরোধ বাহিনী ধৈর্যহীন হয়ে পড়বে এবং কেউই তাদের থামাতে পারবে না। খামেনি বলেন, ইহুদিবাদী শাসকরা যাই করুক না কেন, তারা যে কলঙ্কজনক ব্যর্থতা ভোগ করেছে তা কোনোভাবে কাটিয়ে উঠতে পারবে না।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের হামলার পর গাজা উপত্যকায় টানা বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। হামাস-ইসরায়েলের চলমান এই যুদ্ধে ইসরায়েলে ১ হাজার ৪০০ ও গাজায় ২ হাজার ৮০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধ ওই অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে গত কয়েক দিন ধরে সতর্ক করে দিয়ে আসছে ইরান। মঙ্গলবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসাইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান চলমান এই যুদ্ধ আরও ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি প্রতিরোধ বাহিনী যেকোনও মুহূর্তে আগাম পদক্ষেপ নিতে পারে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, চলমান যুদ্ধ আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং এটি আঞ্চলিক সংঘাতে পরিণত হতে পারে। আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, ‘যদি গাজা ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ বন্ধ না হয়, তাহলে ‘প্রতিরোধ বাহিনী’ আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আগাম পদক্ষেপ নিতে পারে।’
ইরাক, লেবানন, সিরিয়া ও কাতার সফর শেষে তেহরানে ফিরে সোমবার টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আঞ্চলিক সফরে আমি এসব দেশের সরকার ও প্রতিরোধ ফ্রন্টগুলোর সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছি, তারা রাজনৈতিক উপায়ে চলমান সংকটের সমাধান চান। কিন্তু তা যদি সম্ভব না হয় এবং গাজাবাসীর ওপর যদি ইসরায়েলি আগ্রাসন অব্যাহত থাকে তাহলে যেকোনও মুহূর্তে যেকোনও কিছু ঘটে যাওয়া সম্ভব।’
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘লেবাননের হিজবুল্লাহসহ অন্যান্য প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো তাদের সূক্ষ্ম বিবেচনায় সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। প্রতিরোধ নেতারা ইসরায়েলকে যা খুশি তাই করার অনুমতি দেবেন না। তারা যেকোনও সময় আগাম কিছু করে বসতে পারেন।’