লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে যেসব আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী কানাডায় যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন এবং যারা ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করবেন তাদের— আগের তুলনায় দ্বিগুণ অর্থ ব্যাংকে দেখাতে হবে।
কানাডার অভিবাসনমন্ত্রী মার্ক মিলার বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) এ ঘোষণা দিয়েছেন।
আগে কানাডা গমনে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জীবনব্যয় (কস্ট অব লিভিং) খরচ হিসেবে ব্যাংকে ১০ হাজার ডলার আছে এমন প্রমাণ দেখাতে হতো। সেই ২০০০ সাল থেকেই অর্থের পরিমাণ এটিই রয়েছে। কিন্তু এখন জীবনব্যয়ের খরচ বেড়ে যাওয়ায় এটি ১০ হাজার ডলার থেকে ২০ হাজার ৬৩৫ ডলার করা হয়েছে। জীবনব্যয় খরচের সঙ্গে ভ্রমণ ও টিউশন ফিস তো থাকবেই। এই খরচটি বছরে বছরে সামঞ্জস্য করা হবে।
অভিবাসনমন্ত্রী মার্ক মিলার বলেছেন, কানাডায় পড়তে আসার ক্ষেত্রে যেসব শর্ত রয়েছে সেগুলোর সঙ্গে জীবনব্যয়ের বিষয়টি সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সমন্বয় করা হয়নি। এরফলে কানাডায় আসা শিক্ষার্থীরা দেখতে পান সেখানে থাকার মতো পর্যাপ্ত অর্থ তাদের কাছে নেই।
তিনি জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকেই এটি কার্যকর হবে।
কানাডায় বর্তমানে অধ্যয়নরত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ লাখ ৭ হাজার ৭৫০ জন। যার মধ্যে উচ্চশিক্ষা অর্জনের শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন। এসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫ লাখ ৫১ হাজার ৪০৫ জন গত বছর কানাডায় পড়ার অনুমতি পেয়েছিলেন।
কানাডার অভিবাসনমন্ত্রী জানিয়েছেন, শিক্ষার নামে অনেক প্রতিষ্ঠান প্রতারণা করে আসছে। এসব প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের পড়ার সুযোগ দেয়— কিন্তু পরবর্তীতে সেসব শিক্ষার্থী উন্নতমানের শিক্ষা পান না বা গ্রহণ করেন না। এরবদলে তারা কানাডায় স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা চালান। আবার কেউ কেউ স্টুডেন্ট ভিসায় এসে কাজ করেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যেসব প্রদেশে এসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে সে প্রদেশের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করার যে অস্থায়ী অনুমতি রয়েছে সেটির মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।