পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তার একজন আইনজীবী। তার দাবি, ইমরান খানকে জেলের ভেতরে স্লো পয়জনিং বা বিষপ্রয়োগ করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হতে পারে।
এমনকি পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন ওই আইনজীবী। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারাগারে ইমরান খানের জীবন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা তার এই আইনজীবীর নাম নাঈম পাঞ্জুথা। তিনি একইসঙ্গে ইমরান খানের আইন বিষয়ক মুখপাত্র হিসেবেও দায়িত্বপালন করছেন। নাঈমের অভিযোগ, ইমরান খানকে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে এবং তার চলাচল সীমিত করা হয়েছে।
নাঈম পাঞ্জুথার ভাষায়, ‘ইমরান খানকে খাদ্যের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে স্লো পয়জনিং বা বিষপ্রয়োগে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হতে পারে। তাকে মানসিকভাবে অত্যাচার করা হচ্ছে এবং তার চলাফেরা সীমিত করা হয়েছে।’
পাঞ্জুথা বলেন, ৭০ বছর বয়সী ইমরান খানকে সোমবার রাতে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারের একটি নিম্ন শ্রেণীর সেলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এর আগে আদালতের নির্দেশে তাকে গত ২৬ সেপ্টেম্বর অ্যাটক কারাগার থেকে আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘ইমরান খানের সেলের বাইরেই নিরাপত্তা কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলায় ‘দোষী সাব্যস্ত’ হওয়ার পর গত ৫ আগস্ট ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। মূলত গত বছরের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই তারকা ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার বিভিন্ন ট্রায়াল কোর্টের সিদ্ধান্ত বাতিল করে নয়টি ভিন্ন মামলায় ইমরান খানের জামিন পুনর্বহাল করে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, গত মাসে দুর্নীতির মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে পরে কারাদাণ্ডের সেই রায় স্থগিত করে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। যদিও এসব অভিযোগ আগেই অস্বীকার করেছিলেন ইমরান।
এছাড়া দুর্নীতির মামলার রায় স্থগিত ঘোষণা করে ইমরানকে কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। এ রায়কে বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই তারকা ক্রিকেটারের জন্য বড় রাজনৈতিক বিজয় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
যদিও গোপন তারবার্তা ফাঁসের ‘গুরুতর অপরাধে’ এখনও ইমরানকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বর্তমানে প্রায় ১৮০টি মামলা রয়েছে।