দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান বন্দরে গত সপ্তাহে নোঙর করে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিন ইউএসএস কেন্টাকি। চিরবৈরি দেশে সাবমেরিন আসার পর পারমাণবিক হামলার হুমকি দেয় উত্তর কোরিয়া। আর হুমকি দেওয়ার পরের দিনই দেশটি সাগরে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়ছে, শনিবার (২২ জুলাই) কোরীয় উপদ্বীপের পূর্ব সাগরে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে পিয়ংইয়ং।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ জানিয়েছে, শনিবার ভোর ৪টায় ক্ষেপণাস্ত্রগুলো শনাক্ত করে তারা। এখন মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর ধরন খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্যাং সুন নাম হুমকি দেন, দক্ষিণের বুসান বন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক সাবমেরিন ইউএসএস কেন্টাকির আগমন উত্তরের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের অধিকারকে বৈধতা দিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার এমন হুমকির পর এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র প্রেস সেক্রেটারি সাবরিনা এই হুমকিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, দক্ষিণে তাদের পারমাণবিক সাবমেরিন আসার বিষয়টি দুই দেশের দীর্ঘকালীন সম্পর্কের একটি অংশ। দক্ষিণ কোরিয়াও দাবি করেছে, উত্তরকে পারমাণবিক শক্তি দেখাতে তাদের দেশে মার্কিন সাবমেরিন আসেনি।
এছাড়া গত সপ্তাহে স্বেচ্ছায় উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করা সেনা ট্রাভিস কিংয়ের মুক্তির দাবিও জানিয়েছে ওয়াশিংটন। ট্রাভিস উত্তর কোরিয়ায় যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। দুই দেশের মধ্যে সরাসরি কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকায় ট্রাভিসের ফিরে আসার বিষয়টি কঠিন হয়ে পড়েছে।