ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফে) রোববার রাতের অভিযানে নিহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন হামাস যোদ্ধা। আইডিএফ ও গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।
আইডিএফের বিবৃতিতে অবশ্য নিহতদের সংখ্যা উল্লেখ না করে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি সেনাদের অভিযানে গাজার বিভিন্ন ভবন ও সুড়ঙ্গে কয়েক ডজন হামাস যোদ্ধা নিহত হয়েছে।’
তবে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল অভিযান ও বিমান হামলায় রোববার রাতে গাজায় ২০ জন হামাস যোদ্ধা নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন কয়েক ডজন যোদ্ধা।
ফিলিস্তিনের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রোববার গাজার আল শিফা এবং আল কুদস হাসপাতলে বোমা বর্ষণ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এ প্রসঙ্গে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামাস এখন হাসপাতাল ও স্কুলগুলোকে নিজেদের ‘কমান্ড সেন্টার’ হিসেবে ব্যবহার করছে বলে তথ্য পেয়েছেন তারা।
শনিবার গাজা উপত্যকায় গাজায় ‘দ্বিতীয় পর্বের’ অভিযান শুরুর ঘোষণা দেয় আইডিএফ। এই পর্বে বিমান বাহিনীর পাশাপাশি ইসরায়েলের স্থল বাহিনীকেও অভিযানে নিযুক্ত করা হয় অভিযানে।
গত ৭ অক্টোবর ভোররাতে ইসরায়েল ও গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় গাজার নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস। সীমান্তের বেড়া বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করেন শত শত প্রশিক্ষিত হামাস যোদ্ধা।
ইসরায়েলে ঢুকে প্রথমেই কয়েক শ বেসামরিক লোকজনকে নির্বিচারে হত্যা করেন তারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ২১২ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে জিম্মি হিসেবে ধরে যায় হামাস যোদ্ধারা।
এ ঘটনায় সেদিন থেকেই গাজা উপত্যকায় বিমান অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেই সঙ্গে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় গাজার বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ।
ফিলিস্তিনের সবচেয়ে বড় ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী পালটেল জানিয়েছে, শনিবার থেকে গাজায় ইন্টারনেট প্রবাহ স্বাভাবিক হওয়া শুরু করলেও রোববারের অভিযানের পর গাজার উত্তরাংশ ফের ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আইডিএফ সূত্রে জানা গেছে, রোববার গাজার উত্তরাংশে হামাসের একটি কমান্ড সেন্টার গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী।