ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর গত প্রায় এক মাসের অভিযানে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় জাতিসংঘের অন্তত ৫০টি ভবন ও সম্পত্তি ধ্বংস হয়েছে। ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তা প্রদানকারী জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস (আনরোয়া) শুক্রবার এক টুইটবার্তা নিশ্চিত করেছে এই তথ্য।
টুইটবার্থায় আনরোয়া জানিয়েছে, ‘গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলায় আনরোয়ার অন্তত ৫০টি ভবন ও সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোনো কোনো ভবনে সরাসরি আঘাত হানা হয়েছে।’
‘ক্ষতিগ্রস্ত এসব ভবন মূলত জাতিসংঘ পরিচালিত বিভিন্ন স্কুল ও শরণার্থী আশ্রয় কেন্দ্র। বর্তমানে আনরোয়া পরিচালিত শরণার্থী শিবিরগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন অন্তত ৭০ হাজার ফিলিস্তিনি।’
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তপথ ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। ওই দিন শেষ রাত থেকে কয়েক হাজার রকেট ছোড়ার পর বুলডোজার দিয়ে সীমান্ত বেড়া ভেঙ্গে ইসরায়েলে প্রবেশ করে কয়েক শ’ হামাস যোদ্ধা এবং শত শত ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের নির্বিচারে হত্যার পাশপাশি ২৩৪ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় তারা।
জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী (আইএএফ), যা এখনও চলছে। গত শনিবার থেকে আইএএফের পাশাপাশি গাজায় অভিযান শুরু করেছে স্থল বাহিনীও।
গত প্রায় এক মাসের যুদ্ধে হামাসের হামলায় নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। অন্যদিকে ইসরায়েলের বিমান বাহিনীর অভিযানে গাজায় নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৯ হাজার ৬১ জনে।
আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেকদের অধিকাংশের মতে, ১৯৫৩ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ দেখছে মধ্যপ্রাচ্যের আল-আকসা অঞ্চল।