হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ বাধার পর তৃতীয়বারের মতো ইসরায়েলে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, এবারের সফরে— ইসরায়েলি সরকারের প্রতি— লড়াই থামানোর আহ্বান জানাবেন ব্লিঙ্কেন। তবে এটি কোনো যুদ্ধবিরতি হবে না।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) ব্লিঙ্কেনকে বহনকারী বিমানটি ইসরায়েলের তেল আবিবে অবতরণ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক জন কিরবি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে কোনো যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছে না। এর বদলে ‘অস্থায়ী এবং স্থানীয়ভাবে’ লড়াই থামানোর কথা বলছেন তারা।
ইসরায়েলের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে ব্লিঙ্কেন বিমানবন্দরে বলে যান, তিনি গাজায় বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি কমানোর ব্যাপারে দৃঢ় পদক্ষেপ নেবেন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এতে ১ হাজার ৪০০ ইসরায়েলি নিহত হন। ওই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে গাজা থেকে হামাসকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার পরিকল্পনা করে ইসরায়েল। ওই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গাজায় তারা অব্যাহতভাবে বোমা হামলা; সঙ্গে স্থল হামলা চালাচ্ছে।
ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো এসব হামলায় এখন পর্যন্ত ৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে ৭০ শতাংশই হলো নারী ও শিশু।
যুক্তরাষ্ট্র প্রথমদিকে গাজায় এ নির্বিচার হত্যাকাণ্ড নিয়ে চুপ থাকলেও; এখন এ নিয়ে কথা বলা শুরু করেছে। মার্কিন কর্মকর্তারা শিকার করেছেন, গাজায় ইসরায়েলের হামলায় অনেক বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।