এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কমতির দিকে রয়েছে জাপানের জনসংখ্যা। তবে আগের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে ২০২২ সাল। গত বছর দেশটির ইতিহাসে এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা কমার ঘটনা ঘটেছে।
তবে জনসংখ্যা কমলেও সূর্যোদয়ের দেশ জাপানে অভিবাসী বা বিদেশির সংখ্যা রেকর্ড সংখ্যক বেড়ে প্রায় ৩০ লাখে পৌঁছেছে। বুধবার (২৬ জুলাই) এক সরকারি প্রতিবেদনে জানা গেছে এ তথ্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রমহ্রাসমান জনসংখ্যার ঘাটতি পূরণে বড় ভূমিকা রাখছেন অভিবাসীরা।
জনসংখ্যা কমার ব্যাপারে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে জাপানিদের (স্থায়ী নাগরিক) সংখ্যা কমেছে প্রায় ৮ লাখ। এই ৮ লাখ কমে এখন জাপানিদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ২৪ লাখ ২ হাজারে। এর আগে কখনো দেশটিতে এক বছরে, জাপানিদের সংখ্যা কমার ক্ষেত্রে এত বড় লাফ দেখা যায়নি।
২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত রেসিডেন্ট রেজিস্ট্রেশেনের ওপর ভিত্তি করে সংখ্যাটি বের করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দেশটিতে বসবাসরত মোট নাগরিকের সংখ্যাও কমেছে। বর্তমানে জাপানে বাস করছেন ১২ কোটি ৫৪ লাখ ১ হাজার জন। আগের বছরের তুলনায় যা ৫ লাখ ১১ হাজার কম।
এছাড়া এবারই প্রথমবারের মতো জাপানের ৪৭টি বিভাগের সবগুলোতে জনসংখ্যা কমেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০০৮ সালে জাপানে জনসংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল। এরপরই কম জন্মহারের কারণে গত ১৪ বছর ধরে তা কমতেই আছে।
জাপানে ২০২১ সালে যে পরিমাণ অভিবাসী ছিল সেটির তুলনায় ২০২২ সালে তা ১০ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এক যুগ আগে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নন-জাপানিজ ক্যাটাগরির তথ্য রাখা শুরু করে। এতে দেখা গেছে, গত বছরই দেশটিতে এক বছরের মধ্যে অভিবাসীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
অভিবাসীদের বেশিরভাগই বাস করেন রাজধানী টোকিতেও। শহরটিতে যে সংখ্যক বাসিন্দা রয়েছেন তার ৪ দশমিক ২ শতাংশ হলেন অভিবাসী।
সূত্র: রয়টার্স