ডেস্ক রিপোর্ট:
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্যই ডিজিটাল আইন (সাইবার নিরাপত্তা আইন) করা হয়েছে। বিএনপি সত্য বলে, অন্যায়ের প্রতিবাদ করে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলা মানেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলা। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলা থেকে বিরত রাখতে ডিজিটাল আইন করা হয়েছে। তবে ডিজিটাল আইন করেও তারা নিজেদের রক্ষা করতে পারবে না।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খা হলে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন উপলক্ষে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম।
আগামী জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হবে বলে মন্তব্য করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, কেউ যদি মনে করে আগামী নির্বাচন আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর অধীনে হবে তাহলে তারা স্বপ্ন দেখছেন। রাস্তায় যান তাহলে বুঝতে পারবেন। মানুষ এখন নিজেদের ভালো-মন্দ জিজ্ঞেস করে না, বলে এ সরকার যাচ্ছে কবে?
দুদু বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অনন্য কৃতির মধ্যে একটি হচ্ছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। এই দল মানুষের হৃদয়ে গেথে গেছে। মানুষ তার হৃদয়ের স্থান দিয়েছে। এই দলকে মানুষ ভালোবাসে বলেই আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে ভয় পায়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ১৯৭১ সালে শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়াও আওয়ামী লীগের অনেক বড় বড় নেতা ছিল কিন্তু কেউ স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে সাহস করেনি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করলেন, যুদ্ধ করে আবার ফিরে এসে চাকরিতে জয়েন করেছেন। তিনি রাজনীতির লোক ছিলেন না। তিনি যখন রাজনীতিতে এলেন তখন গণভোটের ব্যবস্থা করলেন। যা বর্তমান সরকার উঠিয়ে দিয়েছে। তার সময় সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে ভালো ছিল। তার ভালোবাসা সকল ধর্মের লোকদের প্রতি ছিল। বাংলাদেশের অর্থনীতি-শিক্ষা শহীদ জিয়ার হাতে গড়া।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বিএনপির দ্বিতীয় পিলার। বাংলাদেশে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে যদি কেউ নোবেল পায় সেটা বেগম খালেদা জিয়া পাওয়ার যোগ্য। কেননা, গণতন্ত্রের জন্য মানুষ কতটা ত্যাগ স্বীকার করতে পারে। তার স্বামীকে হত্যা করার পর তিনি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। তার প্রতি একটু শ্রদ্ধাবোধ থাকলে তাকে এভাবে মিথ্যা মামলায় জেলে আটক করে রাখত না।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া জনগণের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেছিলেন। জনগণ কেয়ারটেকার চেয়েছিল বলে তিনি কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। অনেকেই বলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে জাদু ঘরে রাখা হয়েছে। আমি বলি যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছে আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করেছে তাদেরকে জাদুঘরে রাখা উচিৎ।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা এবং মানুষের অধিকারের জন্য। এই জায়গায় কোনো আপস নেই। এটাই শহীদ জিয়া, বেগম জিয়ার রাজনীতি। আর একজন আছেন যিনি আমাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারেক রহমান। তার নাম শুনলেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায়। তিনি বাংলাদেশের রাজনীতিকে একটি জায়গায় নিয়ে এসেছেন। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, বিএনপিরসহ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন শ্যামল, সংগঠনের উপদেষ্টা এম নাজমুল হাসান প্রমুখ।