তুরস্কে টেসলা কারখানা প্রতিষ্ঠা করতে ইলন মাস্ককে অনুরোধ করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। ইলন মাস্ক হচ্ছেন ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী এবং রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) তার সঙ্গে বৈঠকে এরদোয়ান এই অনুরোধ করেন।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান টেসলা সিইও ইলন মাস্ককে তুরস্কে একটি টেসলা কারখানা প্রতিষ্ঠা করতে বলেছেন বলে দেশটির বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সি রোববার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে জানিয়েছে।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এই বার্তাসংস্থা জানিয়েছে, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের কাছে তুর্কি হাউস নামে একটি আকাশচুম্বী ভবনে ইলন মাস্কের সঙ্গে এরদোয়ান বৈঠক করেন এবং সেসময়ই তার দেশে টেসলা কারখানা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান তুর্কি এই প্রেসিডেন্ট।
এদিকে সোমবার ক্যালিফোর্নিয়ায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে মাস্কের। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে মাস্ক জানিয়েছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিতে ফোকাস করে তাদের মধ্যে আলোচনা হবে।
রয়টার্স বলছে, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। যদিও রোববারের এই বৈঠক সম্পর্কে টেসলা এবং ওয়াশিংটনে নিযুক্ত তুর্কি দূতাবাস তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
অবশ্য টেসলা গত আগস্টে ভারতে একটি কারখানা তৈরি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে যা কম খরচে বৈদ্যুতিক যান (EV) তৈরি করবে। টেসলার বর্তমানে ছয়টি কারখানা রয়েছে এবং মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলীয় নুয়েভো লিওন প্রদেশে সপ্তম কারখানাটি নির্মাণ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
মূলত বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারক এই প্রতিষ্ঠানটির পদচিহ্ন বিশ্বজুড়ে সম্প্রসারণের একটি অংশ হিসেবে কারাখানা বাড়ানো হচ্ছে।
এর আগে ইলন মাস্ক চলতি বছরের মে মাসে বলেছিলেন, তার অটোমেকার এই প্রতিষ্ঠান সম্ভবত এই বছরের শেষ নাগাদ নতুন কারখানার জন্য একটি অবস্থান বেছে নেবে। টেসলার শেয়ার এই বছর এ পর্যন্ত ১২৩ শতাংশ বেড়েছে এবং গত শনিবার এই অটোমেকার জানিয়েছে, তারা ৫০ লাখতম গাড়ি তৈরি করেছে।
টেসলা পরিচালনার পাশাপাশি ইলন মাস্ক ২০২২ সালে রেকর্ড ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স কিনে নেন। সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয় এই সাইটটি ইতোপূর্বে টুইটার নামে পরিচিত ছিল।
রয়টার্স বলছে, নিজেকে নিরঙ্কুশ বাকস্বাধীনতা-পন্থি হিসাবে বর্ণনা করলেও মাস্ক এর আগে তুর্কি সরকারের কিছু দাবি মেনে তার প্ল্যাটফর্মে দেশটির বহু কন্টেন্ট সেন্সর করেছেন। যদিও অন্যান্য ক্ষেত্রে, সোশ্যাল মিডিয়ার এই সংস্থাটি তুরস্কের আদালতের কিছু আদেশের বিরুদ্ধে আপত্তিও জানিয়েছে।