৪৪ আরোহী নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে একটি স্কুল বাস। দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন এবং গুরুতর আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। বাসের সামনের টায়ারে ত্রুটি দেখা দেওয়ার পর বাসটি রাস্তা থেকে ছিটকে খাদে পড়ে যায় বলে মনে করা হচ্ছে।
এই ঘটনায় তদন্ত চলছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভাড়া করা এই বাসটি শিক্ষার্থীদের নিয়ে লং আইল্যান্ড থেকে একটি ব্যান্ড ক্যাম্পে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে চলন্ত অবস্থায় সামনের টায়ারে ত্রুটি দেখা দেওয়ার পর বাসটি রাস্তা থেকে ছিটকে যায় এবং ওয়াওয়ায়ান্ডা শহরের কাছে একটি খাদে পড়ে যায়।
কর্মকর্তারা বলছেন, বাসে ৪৪ জন আরোহী ছিলেন। তাদের উদ্ধার করার পর চিকিৎসার জন্য ছয়টি আঞ্চলিক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে দুর্ঘটনায় নিহত দুই ব্যক্তি হচ্ছেন- জিনা পেলেটিয়ের (৪৩) এবং বিট্রিস ফেরারি (৭৭)।
স্কুলের ওয়েবসাইট অনুসারে, নিহত জিনা পেলেটিয়ের স্কুলের মিউজিক প্রোগ্রামে কাজ করতেন। নিউইয়র্ক শহর থেকে উত্তর দিকে প্রায় দুই ঘণ্টার দূরত্বে স্থানীয় সময় প্রায় দুপুর ১টা ১০ মিনিটের দিকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। পরে দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ চালানোর জন্য পুলিশ হাইওয়ে বন্ধ করে দেয়।
বিবিসি বলছে, ফার্মিংডেল হাই স্কুল থেকে ৩০০ জন শিক্ষার্থীকে পেনসিলভেনিয়ার গ্রিলিতে একটি সঙ্গীত শিবিরে নিয়ে যাওয়ার জন্য ছয়টি বাস ভাড়া করা হয়েছিল এবং দুর্ঘটনাকবলিত এই বাসটি ছিল সেগুলোরই একটি। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দুর্ঘটনার পর বাসটির পাশের জানালা ভাঙ্গা এবং ভেতরে আটকে পড়া লোকদের উদ্ধার করতে সেখানে একটি মই লাগানো রয়েছে।
নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হচুল স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বহন করা ওই বাসটি কয়েক মিনিটের মধ্যে আক্ষরিক অর্থে ৫০-ফুট গভীর (১৫ মিটার) গিরিখাতে পড়ে যায়। এটি বিস্ময়কর ঘটনা।’
তিনি বলেছেন, যদিও প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে সম্ভবত বাসের ত্রুটিপূর্ণ সামনের টায়ারের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তারপরও এই বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন রয়েছে। বাসে থাকা বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর বয়স ছিল ১৪ বা ১৫ বছর।
গভর্নর বলেন, ধ্বংসস্তূপ থেকে তাদের সবাইকে উদ্ধার করতে ৪৫ মিনিট সময় লেগেছে।