৩৮ বছরের বেশি সময়ের শাসন শেষ হতে চলেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের।
পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন কম্বোডিয়ার এই বিতর্কিত প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার (২৬ জুলাই) দেওয়া এক বক্তৃতায় তিনি এই ঘোষণা দেন।
তার বড় ছেলে হুন মানেতকে তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই নতুন সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিতে চলেছেন মানেত।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ৭০ বছর বয়সী হুন সেন বলেন, ‘জনগণকে বলছি, আমি রাজার সঙ্গে দেখা করেছি এবং ঘোষণা করেছি যে আমি আর প্রধানমন্ত্রী পদে থাকব না। আমাকে ক্ষমতা ত্যাগ করতে হবে। হুন মানেত আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হবেন। আগামী ১০ আগস্ট নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করা হবে। তরুণ প্রজন্মের নেতাদের জন্য পথ তৈরি করার সময় এসেছে। আমার ছেলের অধীনে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি ও উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে। ’
গত রোববার অনুষ্ঠিত বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজন করে ফের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কম্বোডিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক হুন সেন।
তার ছেলে হুন মানেত এখন দেশের সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। রোববারের নির্বাচনে তিনিও জয়ী হয়েছেন।
নির্বাচনটিকে সমালোচকরা ধোঁকা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো ভোটের শুদ্ধতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
ক্ষমতার প্রায় চার দশকে সাবেক খেমাররুজ নেতা তার প্রতিদ্বন্দ্বী সব বিরোধী দলকে নিষিদ্ধ করেছেন। তাদের দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করেছেন। জনগণের বাক্স্বাধীনতা হরণ করেছেন।
গেল মে মাসেও বিরোধী দল ক্যান্ডললাইট পার্টিকে কৌশলে নিষিদ্ধ করেন হুন সেন। নির্বাচন কমিশন আইনি মারপ্যাঁচের ভিত্তিতে দলটিকে নির্বাচনে অংশ নিতে অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
তাই ৩৮ বছর ধরে এভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকা হুন শেনের হঠাৎ পদত্যাগ গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছে।