ভারতের গুজরাট রাজ্যে বিমানবন্দরে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর অটো চালকরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অটোরিকশা ভাড়া করার পরিবর্তে ক্যাব ভাড়া করায় তাদের ওপর হামলার ওই ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন দুই বাংলাদেশি। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুজরাটের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক (এসভিপিআই) বিমানবন্দরে তিন অটোরিকশা চালকের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগে দুই বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অটোরিকশা ভাড়া করার পরিবর্তে ক্যাব বুক করায় হামলা চালানো হয় বলে জানানো হয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার বিমানবন্দর থানায় দায়ের করা অভিযোগ অনুসারে, ভুক্তভোগী ওই দুই বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর নাম আদিত্য দে এবং সৌরভ কুমার। তারা দুজনেই নাভারংপুরার এলডি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থী।
বিমানবন্দর থানায় দায়ের করা অভিযোগ অনুসারে, বাংলাদেশের ছাত্র আদিত্য দে এবং সৌরভ কুমার জাম্বিয়ার ছাত্র জাস্টিন কাংওয়াকে আনতে এসভিপিআই বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক টার্মিনালে গিয়েছিলেন। তারা ভোর ৩টায় বিমানবন্দরে পৌঁছান এবং কাংওয়ার ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন।
ভোর ৪ টার দিকে কাংওয়ার ফ্লাইট বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পরে তারা এলডি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ক্যাম্পাসে তাদের হোস্টেলে ফিরে যাওয়ার জন্য ক্যাব খোঁজার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তিনজন অটোরিকশা চালক তাদের কাছে রিক্সা পাওয়া গেলে তারা কেন ক্যাব বুক করছেন, তা জানতে চান।
দে বলেন, তারা চালকদের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়িয়ে যান এবং কাংওয়াকে নিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে এক অটোরিকশা চালক তাদের সঙ্গে তর্ক শুরু করেন। এরপর সেই চালক ও অন্যরা দে এবং কুমারকে মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
দে বলেন, অভিযুক্তরা তার চশমা ভেঙে দেয় এবং হুমকি দেয়। বিমানবন্দরের নিরাপত্তারক্ষীরা হস্তক্ষেপ করার পর ওই তিন শিক্ষার্থী চলে যেতে সক্ষম হন।
এই ঘটনায় আদিত্য দে পরে বিমানবন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সেটি এফআইআর-এ রূপান্তরিত হয়নি বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
বিমানবন্দরের একজন নিরাপত্তারক্ষী বলেছেন, আন্তর্জাতিক টার্মিনালে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার খবর পাওয়ার পর তারা অটোরিকশা ও ট্যাক্সি চালকদের ওপর বিশেষ নজরদারি করে থাকেন।
সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ইন্টারন্যাশনাল (এসভিপিআই) বিমানবন্দরের একজন মুথপাত্র জানান, ‘বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরে কোনও বেআইনি কার্যকলাপ সহ্য করে না। দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও এই ধরনের কার্যকলাপে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করছে। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আমরা যাত্রীদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’