
মিসর থেকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উদ্দেশ্যে রাফাহ ক্রসিংয়ে প্রবেশ করেছে ত্রাণবাহী ট্রাকের তৃতীয় একটি বহর। সোমবার রাফাহ ক্রসিংয়ে অবস্থানরত একজন ত্রাণকর্মী ও দুটি নিরাপত্তা সূত্র ত্রাণবাহী ট্রাকের গাজায় ঢুকের পড়ার তথ্য জানিয়েছেন।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি অব্যাহত হামলায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর মাঝেই গত কয়েকদিন ধরে গাজার সাথে মিসরের একমাত্র সীমান্ত রাফাহ ক্রসিংয়ে মিসরের প্রান্তে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে আটকা পড়েছে অনেক ট্রাক। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের গাজায় ত্রাণসামগ্রী প্রবেশের অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানানোর পর শনিবার প্রথম দফায় ত্রাণবাহী ২০টি ট্রাক অবরুদ্ধ উপত্যকায় প্রবেশ করে।
গাজার প্রধান ক্রসিং রাফাহ। আর এই ক্রসিংয়ের সাথে ইসরায়েলের সীমান্ত নেই। গত ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার জবাবে উপত্যকায় সর্বাত্মক আরোপ ঘোষণা করে ইসরায়েল। এরপর মিসরীয় কর্তৃপক্ষ রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেয়। গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর অন্যতম পথ হয়ে উঠেছে রাফাহ।
ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার কারণে সীমান্তের ওপারে মিসরীয় ভূখণ্ড থেকে ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো এতদিন গাজায় প্রবেশ করতে পারেনি। গত শনিবার প্রথমবারের মতো ২০টি ট্রাক ত্রাণসামগ্রী নিয়ে গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করে। পরে রোববার আরও ১৪টি ত্রাণের ট্রাক গাজায় পৌঁছায়।
গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় এড়াতে আরও শত শত ত্রাণের ট্রাকের প্রয়োজন জানিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে রাফাহ ক্রসিংয়ে হামলা বন্ধের আহ্বান জানান। এরপরই সোমবার ত্রাণবাহী কয়েকটি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে বলে সেখানকার দাতব্যকর্মী ও নিরাপত্তা সূত্রগুলো জানিয়েছে।
জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলেছেন, গাজায় প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন প্রায় ১০০টি ট্রাকের প্রয়োজন। ২৩ লাখ মানুষের অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় খাদ্য, পানি এবং জ্বালানির মজুত দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে।