যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আসলে কেমন? ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলছেন— এই সম্পর্কের সংজ্ঞা দেওয়া বা সীমা নির্ধারণ করা এক প্রকার অসম্ভব।
তিনি আরও বলেন, এই দুই দেশ এখন পরস্পরকে ‘পছন্দসই, সর্বোত্তম, সুখকর সহযোগী’ হিসাবেই দেখে।
ওয়াশিংটনে এক অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, আমাকে প্রায়ই জিজ্ঞাসা করা হয় যে, এই দুই দেশের (ভারত-আমেরিকা) সম্পর্ক কোথায় চলেছে? এই সম্পর্কের সীমা নির্ধারণ বা সংজ্ঞা দেওয়া বা এই নিয়ে প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করা আমার পক্ষে কঠিন। কারণ এই সম্পর্ক সব দিক থেকে সমস্ত প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে। সে কারণে আজ দুই দেশের সম্পর্কের সংজ্ঞা দেওয়ার চেষ্টা করি না। আমরা এই সম্পর্কের মাত্রা ক্রমেই বাড়িয়ে চলেছি।
জয়শঙ্কর আরও বলেন, ভারত এবং আমেরিকার এক সঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন। আমেরিকার বিষয়ে যারা ভালো বলেন এবং ভালো ভাবেন, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখাটা ওয়াশিংটনের কাছে জরুরি। আমরা নতুন ক্ষেত্র খুঁজে যাচ্ছি। এই কাজটা যতই এক সঙ্গে করব, ততই বেশি সফল হব।
ইসরোর চন্দ্রযানের মতোই ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে বলেও মন্তব্য করেন জয়শঙ্কর।
সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে শেষ হওয়া জি-২০ সম্মেলন সফল করতেও সাহায্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাসে আয়োজিত একটি কর্মসূচিতে সে কথা জানিয়েছেন জয়শঙ্কর। তিনি জানান, এই সম্মেলনকে সফল করে তুলতে যুক্তরাষ্ট্র যে সাহায্য করেছে, তা সকলের সামনে বলা উচিত।
যুক্তরাষ্ট্রে বসে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন জয়শঙ্কর। ট্রুডোর অভিযোগ ছিল, কানাডায় খালিস্তানি নেতা হারদীপ সিং নিজ্জারের হত্যার নেপথ্যে রয়েছে ভারতের এজেন্ট।
এই প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর জানান, এটা ভারতের নীতি নয়। ভারত-কানাডা কূটনৈতিক সংঘাতের আবহে কানাডার নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে নয়াদিল্লি। তা নিয়েও ওয়াশিংটনে মুখ খুলেছেন জয়শঙ্কর।
তিনি বলেছেন, বাধ্যবাধকতা ছিল। আমাদের কূটনীতিক, দূতাবাস নিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছিল। কী ভাবে ওরা দপ্তরে গিয়ে ভিসা দেওয়ার কাজ করবেন। এটা আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্ন। ভিয়েনা চুক্তির প্রশ্ন। ভিয়েনা চুক্তি অনুযায়ী আমাদের কূটনীতিক, দূতাবাসকে নিরাপত্তা দিতে হবে।