ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি জানিয়েছেন, শুক্রবার (২ নভেম্বর) সকাল থেকে লেবানন সীমান্তে অতি সতর্কতায় রয়েছে তাদের সেনারা।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর এতে অনেকটা বিক্ষিপ্তভাবে যোগ দেয় লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। আর হিজবুল্লাহ যোগ দেওয়ায় লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে গত কয়েকদিন ধরেই হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটছে।
তবে আজ শুক্রবার হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ প্রথমবারের মতো হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে ভাষণ দেবেন। তার এ ভাষণের আগে সীমান্তে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারেন। আর এমন আশঙ্কা থেকেই লেবানন সীমান্তে নিজেদের সেনাদের অতি সতর্কতায় রেখেছে ইসরায়েল।
সেনাদের সতর্কতায় থাকার ব্যাপারে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র বলেছেন, ‘গতকাল হিজবুল্লাহর চালানো বড় হামলার জবাবে আমরা তাদের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছি। তাদের ওই হামলায় বেসামরিক মানুষ আহত হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘ইসরায়েলি বেসামরিকদের উপর যে কোনো ধরনের হামলার কঠোর জবাব আমরা অব্যাহত রাখব। আমরা উত্তরাঞ্চলের সীমান্তে সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছি এবং আজ বা আগামী দিনের যে কোনো ধরনের হুমকি মোকাবিলায় অতি সতর্কতায় রয়েছি।’
হিজবুল্লাহ প্রধান হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে কি বলবেন— এ নিয়ে চিন্তিত পশ্চিমা দেশগুলোও। কারণ যদি হিজবুল্লাহ এ যুদ্ধে জড়ায় তাহলে— এটি একটি বড় আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে।