স্বাস্থ্য ডেস্ক:
সারাদেশেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। এই সময় শিশুদের জ্বর হলে অভিভাবকদের বাড়তি সতর্কতা নিতে বলছেন চিকিৎসকরা। শিশুদের জ্বর হলে দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের নির্দেশে রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময়ে শিশুদের যাতে ডিহাইড্রেশন না হয়, সে দিকে নজর রাখতে হবে। এই সময়ে শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও জলীয় খাবার দিতে হবে। নিয়ম করে রক্তের প্লেটলেটের সংখ্যা পরীক্ষা করাতে হবে। তবে যদি বমি হয়, তা হলে শিশুকে ভর্তি করার দরকার হতে পারে। যদি জ্বরের মধ্যে শিশুদের প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায় (দিনে ৭/৮ বারের কম প্রস্রাব হয়) তা হলে ঝুঁকি না নিয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো দরকার। এর সঙ্গে যদি শিশুটি জানায় যে, বুকে বা পেটে ব্যথা করছে, তা হলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানো দরকার।
সংক্রমণ এড়ানো কী করবেন
১. বাড়িতেই হোক কিংবা বাড়ির বাইরে বেরোলেই শিশুদের মশারোধী ক্রিম গায়ে মাখিয়ে রাখুন। পাশাপাশি তাদের ফুলহাতা জামা আর ফুল ট্রাউজ়ার পরিয়ে রাখুন।
২. শিশুদের মশারির ভিতর ঘুমোনোর অভ্যাস করুন।
৩. ঘরে বা ঘরের আশেপাশে কিছুতেই পানি জমতে দেবেন না। পানির বালতি ঢেকে রাখুন। বাড়ির চারপাশে যেন কোনও ভাবেই পানি না জমতে পারে সে দিকে কড়া নজর রাখুন। জানালায় মশা আটকানোর নেট লাগান।
৪.ভেষজ কোনও কোনও ধূপেও মশা যায়। সে সব করতে পারেন বাড়িতে। বাড়িতে মশা নিরোধক তেল ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। মশা তাড়ানোর জন্য কর্পূর জ্বালিয়ে রাখতে পারেন বাড়িতে। ইউক্যালিপটাস, তুলসি, লেমনগ্রাস— এই সব গাছ কিনে বাড়িতে রাখতে পারেন। এসব গাছের গন্ধে মশা দূরে থাকে।
৫. শিশুদের রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়ানোর জন্য ডায়েটের উপর নজর দিতে হবে। শিশুদের বেশি করে ব্রকোলি, দই, টকজাতীয় ফল, পালংশাক, বাদাম খাওয়াতে হবে। শুধু তা-ই নয়, শিশু যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খায় সে দিকেও নজর রাখতে হবে।