দক্ষিণ কোরিয়া থেকে গত ১৯ জুলাই আকস্মিকভাবে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেন ট্রাভিস কিং নামের এক মার্কিন সেনা। এরপর তাকে নিজেদের জিম্মায় নেয় পিয়ংইয়ং।
তবে দীর্ঘ দুই মাস পর উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, তদন্ত শেষ হওয়ায় এখন ট্রাভিস কিংকে বের করে দেবে তারা।
দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা কেএনসিএ বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তদন্তে শেষে ‘অবৈধ অনুপ্রবেশের’ দায়ে আটক মার্কিন সেনাকে বিতাড়িত করা হবে।
তবে ট্রাভিস কিংকে কখন এবং কোথায় বিতাড়িত করা হবে সে বিষয়ে দেশটি কোনো কিছু জানায়নি। এছাড়া বর্তমানে ট্রাভিসের শারীরিক অবস্থা কেমন; সেটিও জানায়নি পিয়ংইয়ং।
বার্তাসংস্থা কেএনসিএর তথ্য অনুযায়ী, ২৩ বছর বয়সী এই মার্কিন সেনা স্বীকার করেছেন উত্তর কোরিয়ায় তিনি অবৈধভাবে প্রবেশ করেছেন ‘যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে অমানবিক ব্যবহার, বর্ণ বিদ্বেষের শিকার হওয়ায় এবং মার্কিন সমাজের অসমতার বিষয়ে ভুল ভাঙার কারণে।’
বার্তাসংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ‘কোরিয়া রিপাবলিকের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মার্কিন সেনা ট্রাভিস কিং, যিনি অবৈধভাবে রিপাবলিকে প্রবেশ করেছেন, তাকে বিতাড়িত করা হবে।’
গত ১৯ জুলাই একটি ট্যুর গ্রুপের সঙ্গে উত্তর-দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্ত এলাকায় যান ট্রাভিস কিং। সেখানে গিয়ে হঠাৎ করেই উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেন তিনি। এরপর থেকে তাকে আর জনসম্মুখে দেখা যায়নি।
ট্রাভিস কিং দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন সেনাবাহিনীর সদস্য হিসেবে মোতায়েন ছিলেন। কিন্তু শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে দেশটিতে দুই মাস কারাভোগ করেন তিনি। এরপর তাকে ফেরত নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সেনাবাহিনী। সে হিসেবে তাকে বিমানবন্দরেও নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখান থেকে ট্রাভিস কিং পালিয়ে ট্যুর গ্রুপের সঙ্গে সীমান্তে চলে যান এবং উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেন।