Date: November 23, 2024

দৈনিক বজ্রশক্তি

Header
collapse
...
Home / আন্তর্জাতিক / সিকিমে আতঙ্কে দিন কাটছে হোটেলবন্দী পর্যটকদের

সিকিমে আতঙ্কে দিন কাটছে হোটেলবন্দী পর্যটকদের

October 06, 2023 08:30:02 AM   আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সিকিমে আতঙ্কে দিন কাটছে হোটেলবন্দী পর্যটকদের

বেড়ানোর রোমাঞ্চ বদলে গেছে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা আর আতঙ্কে! বিভিন্ন হোটেলে একপ্রকার বন্দী হয়ে আছেন বন্যায় বিপর্যস্ত সিকিমের পর্যটকরা। বেড়ানোর পরিকল্পনা বাদ দিয়ে কীভাবে বাড়ি ফিরবেন, সেই দুশ্চিন্তাতেই আটকে পড়া অনেক পর্যটকের দিন কাটছে। বিকল্প রাস্তায় গাড়ি চলাচল শুরু হলেও নতুন করে বিপর্যয়ের আশঙ্কায় দুশ্চিন্তা যাচ্ছে না সিকিমে বেড়াতে যাওয়া ওই পর্যটকদের।

এদিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ভয়াল আকার নিয়েছে সিকিমের পরিস্থিতি। তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় পাহাড়ি পথের একাধিক জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের সীমানায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কও ভেঙে গেছে। তবে, সব চেয়ে বেশি বিপর্যস্ত উত্তর সিকিম। আপাতত কোনও পর্যটকেকেই সে দিকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না বলে সিকিম প্রশাসন জানিয়েছে।

রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে সিকিমে গিয়ে প্রায় তিন হাজারেরও বেশি পর্যটক সেখানে আটকে পড়েছেন। কলকাতার একাধিক পরিবার পূজার আগে সিকিমে ঘুরতে গিয়েছিল।

গত ২ অক্টোবর সিকিমে ঘুরতে গিয়েছিলেন কসবার বাসিন্দা, পেশায় চিকিৎসক ভবানীপ্রসাদ সেনগুপ্ত। ছেলে, মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে গ্যাংটক ঘুরে পেলিং যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও আপাতত সব বাতিল। বুধবার থেকে গ্যাংটকের হোটেলেই রয়েছেন তারা।

তিনি বললেন, নানা রকম খবর শুনছি। আর আতঙ্কে ভুগছি। পরিবারের বাকিরাও আতঙ্কিত। আত্মীয়স্বজনও উদ্বিগ্ন হয়ে বার বার ফোন করছেন। আমরা আপাতত সমস্ত পরিকল্পনা বাতিল করে কলকাতায় ফেরার বন্দোবস্ত করছি।

একইভাবে সিকিম ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করে হোটেলেই আতঙ্কে দিন কাটছে হাওড়ার কৌশিক হাজরার। বন্ধুবান্ধব মিলে মোট আট জনের একটি দল গত রবিবার বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। পূর্ব সিকিমের ভুলুক, সিল্ক রুটের দিকে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। আপাতত সে সব বাতিল।

গুপ্তধন ভেবে বাড়িতে নিয়ে গেলেন মর্টার শেল, বিস্ফোরণে প্রাণহানি
ছবির মতো সাজানো সিকিমের একটি গ্রাম ভাসিয়ে নিয়েছে তিস্তা
হোটেল থেকে ফোনে বললেন, গাড়ি নিয়ে বেরোলেও পথে সেনাকর্মীরা আটকে দেন। চার দিকে শুধু পুলিশ আর ধস। সেখান থেকে কোনও মতে ফিরে এসে হোটেলে উঠেছি। যত ক্ষণ না বাড়ি ফিরছি, আতঙ্ক কাটছে না।