অনেকের জানাশোনা থাকতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ নামিবিয়ার স্কেলিটন কোস্টের ব্যাপারে। তবে বিস্তারিত নাও জেনে থাকতে পারেন। এটি একটি ৪০ কিলোমিটার চওড়া এবং ৫০০ কিলোমিটার লম্বা উপকূলীয় অঞ্চল।
বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক সৈকতগুলোর একটি এটি। প্রশ্ন হলো- কেন এই সমুদ্র সৈকত এত বিপজ্জনক? দ্য মিরর-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এখানে হায়েনা, চিতাবাঘ ও সিংহ বালির মধ্যে লুকিয়ে শিকারকে আক্রমণ করে।
সৈকতের একটি বড় অংশে শুধু প্রশিক্ষিত ট্যুরিস্ট অপারেটরদের মাধ্যমে পৌঁছানো যায়। কারণ এখানে একা ভ্রমণ করা পর্যটকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
এই সৈকত একটি জাতীয় উদ্যানও বটে, যা দক্ষিণ ও উত্তর অংশে বিভক্ত। মানুষ সহজেই দক্ষিণাঞ্চলে পৌঁছাতে পারে। কঙ্কাল উপকূল পার্কের দক্ষিণে ন্যাশনাল ওয়েস্ট কোস্ট ট্যুরিস্ট রিক্রিয়েশন এরিয়া, যেখানে প্রচুর পরিমাণে মাছ রয়েছে, এটি জেলেদের জন্য একটি প্রধান আকর্ষণ।
উত্তরের অংশে পৌঁছানো কঠিন। সেখানে যেতে ট্যুর অপারেটরদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। আফ্রিকান ট্রাভেল রিসোর্সেসের প্রতিষ্ঠাতা গ্রেগ ওয়েলবি বলেন, ‘এই অঞ্চলটি এই মুহূর্তে আফ্রিকার সবচেয়ে দূরবর্তী, দুঃসাহসিক এবং উত্তেজনাপূর্ণ সাফারি।’
হাকাই ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সিংহদের ওপর নজর রাখতে এবং তাদের মানুষ থেকে আলাদা করতে এখানে একটি অদৃশ্য বেড়াও স্থাপন করা হয়েছে, যা জিওফেন্স নামে পরিচিত।
সমুদ্র উপকূলটি বিশ্বের বৃহত্তম জাহাজের কবরস্থান হিসেবেও পরিচিত। এখানে প্রায় ৫০০টি জাহাজের ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে। এখানে জাহাজডুবির প্রধান কারণ কুয়াশা এবং রুক্ষ সমুদ্র।
ইনফো নাম্বিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, সমুদ্র সৈকতেও বহু হাড় পাওয়া যায়। কাঠের পর্তুগিজ জাহাজ থেকে শুরু করে এক শতাব্দী আগে ডুবে যাওয়া আধুনিক স্টিল-হুলড জাহাজের কঙ্কালও এখানে রয়েছে বলে জানা যায়।