তীব্র থেকে তীব্র হচ্ছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধ। প্রথম হামলা চালায় গত শনিবার হামাস ইসরায়েলের উপর ; এরপর ইসরায়েল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা লক্ষ্য করে অব্যাহতভাবে বোমা ছুড়ে যাচ্ছে।
আর দুই পক্ষের মধ্যে এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। সৌদির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) জানিয়েছে, এই টেলিআলাপে যুবরাজ সালমান আশ্বস্ত করেছেন, তারা ফিলিস্তিনিদের পাশেই থাকবেন এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবেন।
যুবরাজ বলেছেন, ‘সৌদি আরব— ফিলিস্তিনিদের উন্নত জীবন, তাদের আশা ও আকাঙ্খা পূরণ এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তি অর্জনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে যাবে।’
মাহমুদ আব্বাসকে সালমান আরও জানিয়েছেন, এই যুদ্ধ যেন অন্যত্র ‘ছড়িয়ে না পড়ে’ সেজন্য আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক শক্তিগুলোর সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন তারা।
এদিকে মাহমুদ আব্বাস ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট হলেও— গাজা উপত্যকা ও হামাসের উপর তার কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তার নিয়ন্ত্রণ মূলত পশ্চিম তীরের উপর। এছাড়া তিনি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা সংগঠনের (পিএলও) প্রধানও।
তবে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সৌদি যুবরাজ নতুন করে সমর্থনের যে ঘোষণা দিয়েছেন এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমন সময় তিনি ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানানোর নতুন ঘোষণা দিলেন— যখন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সৌদি ও ইসরায়েলের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের আলোচনা চলছিল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, হামাসের এ হামলা সৌদি-ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন চেষ্টার উপর বড় একটি ধাক্কা।
এদিকে গত শনিবার (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলে ঢুকে ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করেন হামাসের সদস্যরা। তাদের এসব হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৯০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।
হামাসের হামলা শুরুর পরই সৌদি আরব এমন পরিস্থিতিরি জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ ব্যাপারে বলেছে, ফিলিস্তিনিদের উপর অব্যাহত দখলদারিত্ব, ফিলিস্তিনিদের তাদের বৈধ অধিকার থেকে বঞ্চিত করা এবং তাদের পবিত্রস্থানগুলোতে বারবার উস্কানি দেওয়ার কারণে— পরিস্থিতির যে বিস্ফোরণ ঘটবে এ ব্যাপারে সৌদি আরব বারবার সতর্ক করেছিল।