লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকায় ইরান-সমর্থিত শক্তিশালী সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সাথে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে। বুধবার রকেট হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর নিরাপত্তা চৌকি ধ্বংস করে দেওয়ার দাবি করেছে হিজবুল্লাহ। জবাবে লেবাননের দক্ষিণে হিজবুল্লাহর একাধিক ঘাঁটি ও সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে পাল্টা গোলাবর্ষণ করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী লেবাননে একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে ট্যাঙ্ক ও কামান থেকে গোলাবর্ষণ করেছে। একই সঙ্গে হিজবুল্লাহর সামরিক কমান্ড সেন্টার এবং সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
আইডিএফ বলেছে, উত্তর ইসরায়েলে সামরিক বাহিনীর অবস্থানে লেবাননের ভূখণ্ড থেকে রকেট হামলা হয়েছে। এই হামলার জবাবে হিজবুল্লাহর বিভিন্ন স্থাপনা ও সামরিক অবকাঠামোতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সৈন্যরা।
তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু বলছে, ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে সামরিক বাহিনীর একটি ‘‘রাডার স্থাপনা’’ হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দেওয়ার দাবি করেছে হিজবুল্লাহ। এদিকে, সীমান্তের কাছে রকেট হামলার জবাবে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর অবস্থানে গোলাবর্ষণ করছে বলে জানিয়েছে।
গাজায় হামাসের সাথে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি বাহিনীর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ। এই হামলার জবাবে লেবাননে ড্রোন ও বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় প্রায় দুই মাস আগে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েল-লেবাননের সীমান্তে সংঘর্ষে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ইসরায়েলের সাথে সংঘাতে এখন পর্যন্ত হিজবুল্লাহর ৮৫ জনের বেশি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
একই সময়ে লেবাননের কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকও ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। আর ইসরায়েল-লেবানন সীমান্ত সংঘাতে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে নিহত হয়েছেন ১০০ জনেরও বেশি মানুষ।