ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত পরিদর্শন করে সামরিক বাহিনীর ৯১তম ডিভিশনের কমান্ডারের সাথে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত। শনিবার উত্তর সীমান্ত পরিদর্শনে গিয়ে সৈন্যদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, যুদ্ধে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে হিজবুল্লাহ এবং এ জন্য চড়া মূল্য দিচ্ছে লেবাননের সশস্ত্র এই গোষ্ঠী। তবে আমাদের যেকোনো সম্ভাবনার জন্য অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে। সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।
ওই অঞ্চল সফরকালে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডিভিশন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাই ক্ল্যাপার এবং অন্যান্য ব্রিগেড কমান্ডার ও কর্মকর্তাদের সাথে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। পরে তিনি যুদ্ধকবলিত অঞ্চলের কাউন্সিল প্রধানদের সাথে দেখা করেন এবং উত্তর ইসরায়েল থেকে সরিয়ে নেওয়া বাসিন্দাদের বিষয়ে আলোচনা করেন।
গ্যালান্ত বলেন, ‘ঠিক দুই সপ্তাহ আগে দক্ষিণে হামাসের পক্ষ থেকে আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করা হয়েছিল। এই যুদ্ধের উদ্দেশ্য হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ এবং বেঁচে যাওয়া শিশু ও নারীদের ক্ষতি করা।’
তিনি বলেন, আর এসব দৃশ্য ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। এমনকি ইসরায়েলকে থামানোর জন্য হামাসের পক্ষ থেকে এসব ভিডিও আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু আমরা এই যুদ্ধের পরিস্থিতি ১৮০ ডিগ্রিতে উল্টাতে যাচ্ছি। হামলার দিনটি এমনভাবে স্মরণ করা হবে যে ওইদিন হামাসের চূড়ান্ত বিলুপ্তি শুরু হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। দুই সপ্তাহ ধরে চলমান এই যুদ্ধে ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৩৮৫ ফিলিস্তিনি নিহত ও আরও ১৩ হাজার ৫৬১ জন আহত হয়েছেন।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে প্রত্যেকদিন হামলা চালিয়ে আসছে ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সাথে সংঘাতে গত দুই সপ্তাহে হিজবুল্লাহর অন্তত ১৩ সদস্য নিহত হয়েছেন। হামাসের সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধে হিজবুল্লাহ যোগ দিলে তা ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে যুদ্ধের নতুন ক্ষেত্র তৈরি করতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।