Date: November 23, 2024

দৈনিক বজ্রশক্তি

Header
collapse
...
Home / আন্তর্জাতিক / ৫৮ বছর আগে মহিষ চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৭৮ বছরের বৃদ্ধ

৫৮ বছর আগে মহিষ চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৭৮ বছরের বৃদ্ধ

September 15, 2023 09:28:13 AM   আন্তর্জাতিক ডেস্ক
৫৮ বছর আগে মহিষ চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৭৮ বছরের বৃদ্ধ

৫৮ বছর আগে মহিষ চুরির অভিযোগে ভারতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৭৮ বছরের এক বৃদ্ধকে। গ্রেপ্তারকৃত ওই বৃদ্ধের নাম গণপতি বিঠল ওয়াগোর। ১৯৬৫ সালে দুটি মহিষ এবং একটি বাছুর চুরি করার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

অবশ্য দ্বিতীয়বার গ্রেপ্তার হওয়ার পর বার্ধক্য বিবেচনায় জামিন পেয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫৮ বছর আগে ১৯৬৫ সালে মহিষ চুরির অভিযোগে গণপতি বিঠল ওয়াগোর যখন প্রথম আটক হয়েছিলেন তখন তার বয়স ছিল ২০ বছর। সেসময় একই অভিযোগে তার সঙ্গে আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

পুলিশ জানায়, প্রথমবার গ্রেপ্তারের পর তারা জামিনে মুক্ত হলেও পরে নিখোঁজ হয়ে যায় এবং পরে তাদের আর সন্ধান পাওয়া যায়নি। আর বিঠল ওয়াগোরের সহ-অভিযুক্ত ২০০৬ সালে মারা যান। তবে গত সপ্তাহে ওয়াগোরকে পুনরায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যদিও বার্ধক্যের কারণে পরে আদালত তাকে জামিনে মুক্তি দেয়।

বিবিসি বলছে, কর্ণাটকের বিদার জেলায় এই চুরির ঘটনা ঘটে। কিন্তু প্রতিবেশী মহারাষ্ট্র রাজ্যের পৃথক গ্রাম থেকে দুবারই ধরা পড়েন ওয়াগোর।

পুলিশ বলছে, ওয়াগোর এবং কৃষ্ণ চন্দর নামে আরেক অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি ১৯৬৫ সালে পশু চুরি করার কথা স্বীকার করেছিলেন। পরে তাদের স্থানীয় আদালতে হাজির করা হয়েছিল এবং সেখান থেকেই তাদের শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু মুক্তি পাওয়ার পর ওই দুই ব্যক্তি সমন ও ওয়ারেন্ট এড়িয়ে যেতে শুরু করেন। অভিযুক্ত দু’জনই কৃষি শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন এবং তাদের গ্রেপ্তার করতে বিদার থেকে পুলিশের বেশ কয়েকটি দলকে কর্ণাটকের পাশাপাশি প্রতিবেশী মহারাষ্ট্রের গ্রামে পাঠানো হলেও তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।

একপর্যায়ে গত মাসে মামলাটি পুনরায় চালু করা হয়। পরে ওয়াগোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। অবশ্য গ্রেপ্তারের সময় ওয়াগোর পুলিশের কাছে নিজের পরিচয় নিশ্চিত করেন এবং বলেন, তিনি ‘আদালতে যেতে খুব ভয় পেয়েছিলেন’।

এরপর তাকে কর্ণাটকে ফিরিয়ে আনা হয় এবং আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে তার পক্ষে লিগ্যাল এইড সোসাইটির একজন আইনজীবী প্রতিনিধিত্ব করেন।