
মো. মোস্তফা, পাটগ্রাম সংবাদদাতা:
বুড়িমারী এক্সপ্রেস ও লালমনি এক্সপ্রেস নামে আন্তঃনগর ট্রেন দুটি বুড়িমারী থেকে সরাসরি চালুর দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে লালমনিরহাট জেলা রেলওয়ে যাত্রীকল্যাণ পরিষদ পাটগ্রাম উপজেলা শাখা।
আজ রবিবার দুপুর ২টায় পাটগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লালমনিরহাট জেলা রেলওয়ে যাত্রীকল্যাণ পরিষদের আহ্বায়ক আনিসুল ইসলাম লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
তিনি বলেন, লালমনিরহাট থেকে আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা পূরণের অংশ হিসেবে ২০০৪ সালে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালু হলেও সেটি কেবল লালমনিরহাট সদর স্টেশন থেকে ঢাকা চলাচল করছে। অপরদিকে চারটি উপজেলার জনগণ এই রেল যোগাযোগ সুবিধা থেকে এখনও বঞ্চিতই রয়ে গেছে। এমতাবস্থায় সুবিধাবঞ্চিত এই চার উপজেলার জনসাধারণের পক্ষে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ও লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি বুড়িমারী থেকে সরাসরি ঢাকা রুটে চলাচলের দাবিতে বুড়িমারী-ঢাকা আন্তঃনগর রেল বাস্তবায়ন আন্দোলন পরিষদের একটি প্রতিনিধি দল হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম রাজুর নেতৃত্বে ২৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রেল সচিব বরাবর একটি স্মারকলিপি পেশ করেছে। পাশাপাশি রেল উপদেষ্টা, বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচালক, রেলওয়ের পশ্চিম অঞ্চলের রাজশাহী মহাব্যবস্থাপক এবং বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক লালমনিরহাট বরাবর অনুলিপি প্রদান করা হয়।
এর পর রেল বিভাগের সর্বোচ্চ কর্মকর্তারা জানান, রেল বিভাগের সক্ষমতা না থাকায় বুড়িমারী-ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল আপাতত সম্ভব হচ্ছে না। তবে সক্ষমতা অর্জিত হলে শীঘ্রই সরাসরি বুড়িমারী-ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে তারা আশ্বাস দেন।
সংবাদ সম্মেলনে আনিসুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে আরও জানান, লালমনিরহাট জেলা রেলওয়ে যাত্রীকল্যাণ পরিষদের পক্ষ থেকে দাবির প্রেক্ষিতে প্রতিশ্রুতি নয়, বাস্তবভিত্তিক কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা আন্দোলনরত রেলওয়ে যাত্রীকল্যাণ পরিষদ ও জনসমক্ষে প্রকাশ ও প্রদর্শন করতে হবে। শাটল ট্রেনের মাধ্যমে নয়, অতি দ্রুত বুড়িমারী এক্সপ্রেস ও লালমনি এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন দুটি সরাসরি বুড়িমারী-ঢাকা চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। রেল পরিবহনে মান্ধাতার যুগের লক্কর-ঝক্কর মার্কা বগি ও ইঞ্জিন পরিবর্তন করে, নতুন ও অত্যাধুনিক সুবিধাসম্পন্ন ব্যবস্থাপনায় আরামদায়ক ভ্রমণ নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে বঞ্চিত, অবহেলিত ও বৈষম্যের শিকার এই অঞ্চলের জনগণের দীর্ঘদিনের যৌক্তিক ও ন্যায্য দাবি অতি দ্রুত পূরণের জন্য যথোপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে সর্বস্তরের জনগণ আবারও বৃহত্তর গণআন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।