সুস্থ থাকতে নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই। কারণ, আমাদের ক্লান্তি দূর করে ঘুম। তাই প্রতি রাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। তবে অনেকের ঘুমের সমস্যা রয়েছে। ঘুমের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। ঘুম আসে না। অনেকে ঘুমানোর জন্য ওষুধ খেয়ে থাকেন। ঘুমের ওষুধে নির্ভরশীলতা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। অনিয়মিত ঘুম যেসব রোগের ঝুঁকি বাড়ায়-
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়তে পারে। চিকিৎসকদের মতে, ঘুম না হলে শরীরের ‘লিভিং অরগানিজমগুলো ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। নষ্ট হতে পারে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য। বাড়তে পারে উচ্চ রক্তচাপ ও হাইপার টেনশন। ঘুম কম হলে হার্টের সমস্যা হতে পারে। ঘুমের সময় হৃৎপি- ও রক্তনালি বিশ্রাম পায়। তাই ঘুম কম হলে প্রতিনিয়ত কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা বাড়তে থাকে। ফলে হার্টের সমস্যা বাড়তে থাকে। ঘুম পর্যাপ্ত না হলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। দীর্ঘদিন রাতে না ঘুমানো বা কম ঘুমানোর ফলে শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন ব্যাহত হয়। ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। ঘুম শরীরের ক্ষতি পূরণ ও শক্তি সঞ্চয়ের পন্থা। তাই ঘুম কম হলে, তা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়। আমরা যখন ঘুমাই, তখন আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য দায়ী ‘লিভিং অরগানিজম’। কিন্তু আমরা না ঘুমালে এই ‘লিভিং অরগানিজমগুলো কাজ করতে পারে না। ফলে ক্রমশ আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে। মস্তিষ্কে ওরেক্সিন নামের একটি নিউরোট্রান্সমিটার আছে, যা মস্তিষ্ককে সচল রাখতে সহায়তা করে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ওরেক্সিন উৎপাদনের গতি মন্থর হয়ে যায়। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বাড়তে পারে হজমের সমস্যা। না ঘুমালে শরীরের পাঁচন ক্রিয়ায় সাহায্যকারী অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। ফলে খাবার হজমে সহায়ক পাঁচক রসগুলো উপযুক্ত মাত্রায় নিঃসরণে বাধা পায়। তাই ঘুম আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। আমাদের দৈহিক প্রায় সব কার্যকলাপই ঘুমের ওপরে অনেকটাই নির্ভরশীল। তাই কোনো রকম অবহেলা না করে নিয়মিত প্রতিদিন অৃন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। আর ঘুমের সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।