ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা লক্ষ্য করে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে অব্যাহতভাবে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। তাদের এসব নির্বিচার হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ১০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
গাজার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের এক চিকিৎসক কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনী গাজাবাসীর বিরুদ্ধে এবার অপ্রচলিত অস্ত্র ব্যবহার করছে। আর এ অস্ত্র যার উপরই আঘাত হানছে, নিশ্চিতভাবেই তার মৃত্যু হচ্ছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ইসরায়েলিদের বোমা হামলার আঘাতের পর যেসব মানুষকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে— তাদের মধ্যে চিকিৎসকরা বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা দেখতে পেয়েছেন এবং আহতদের প্রায় সবাই মৃত্যুবরণ করছেন। মৃত্যুর হার শতকরা ১০০ শতাংশ।
আল জাজিরাকে এই চিকিৎসক আরও জানিয়েছেন, এবার যেসব মানুষ আহত হচ্ছেন তাদের মধ্যে প্রথমবারের মতো অন্যরকম আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাচ্ছেন তারা। এছাড়া আহতদের শরীরে চতুর্থ ডিগ্রীর পোড়া (দ্বগ্ধ) দেখা যাচ্ছে। যেটি একটি অস্বাভাবিক বিষয়।
এদিকে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরপরই গাজাকে লক্ষ্য করে বোমা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। যা বিরতিহীনভাবে দুই সপ্তাহ ধরে চলছে।
গাজায় হামলা চালানোর পাশাপাশি সেখানে সর্বাত্মক অবরোধও আরোপ করেছে ইসরায়েল। এতে গাজার মানুষ মানবিক বিপর্যয়ে পড়ার শঙ্কায় রয়েছেন। তবে দীর্ঘ দুই সপ্তাহ পর মিসরের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে শনিবার (২১ অক্টোবর) চিকিৎসা সরঞ্জামবাহী ২০টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে।