ইরাকের নিনেভেহ প্রদেশের হামদানিয়া জেলায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১৩ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। প্রাথমিক অবস্থায় আশঙ্কা করা হয়েছিল, আগুনে পুড়ে মারা গেছেন বর-কনে উভয়েই। তবে তাদের আত্মীয়-স্বজনরা জানিয়েছেন, অলৌকিকভাবে তারা দুজনই বেঁচে গেছেন।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এরপর মুহূর্তের মধ্যেই সেখানকার আনন্দ বিষাদে রূপ নেয়।
ইরাকি সংবামাধ্যম চ্যানেল-ওয়ানের এর কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করে ওই আত্মীয়-স্বজনরা জানিয়েছেন, বেঁচে গেলেও ভয়াবহ এ ঘটনায় মানসিকভাবে পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন বর-কনে।
এ ব্যাপারে এক আত্মীয় বলেছেন, ‘আমরা অলৌকিকভাবে সেখান থেকে বের হতে সমর্থ হই। ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা থেকে যারা বেঁচে গেছেন তাদের মধ্যে বর ও কনে রয়েছেন। আমি তাদের সঙ্গেই ছিলাম, তাদের মানসিক অবস্থা খুবই খারাপ। আহত কয়েকজনকে আমি হাসপাতালে নিয়ে গেছি। হাসপাতালে আমি যা দেখেছি; তা বর্ণনা করা কঠিন। অনেকেই পুড়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।’
এদিকে বিয়ের অনুষ্ঠানটি হচ্ছিল একটি বদ্ধ হলরুমে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ঠিক আগ মূহুর্তে ‘স্লো ডান্স’ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বর-কনে। সেই স্লো ডান্সের আগে কেউ একজন আগুন দিয়ে কিছু একটি জ্বালান। এর পরপরই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন এক নারী। আগুনে দ্বগ্ধ হয়ে তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে একশরও বেশি মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনায় তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া-আল-সুদানি।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের মরদেহ এখন সাজিয়ে রাখা হয়েছে। আজ বুধবার এসব মরদেহ সমাহিত করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।