আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন, ইসরায়েলের উচিত ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানো।
ট্রাম্প শুক্রবার ইসরায়েলের উদ্দেশে বলেছেন, ইরানের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ইসরায়েলের উচিত আগে ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালানো।
এনডিটিভি জানায়, নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যে এক নির্বাচনি প্রচারে ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন।
এর আগে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাংবাদিকদের বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলা সমর্থন করেন না তিনি।
এর বদলে ইহুদি রাষ্ট্রটির বিরুদ্ধে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রটির ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য একটি বিস্তৃত আন্তর্জাতিক ঐকমত্য গড়ে তোলার পক্ষে তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ইঙ্গিত করে ট্রাম্প বলেন, “সাংবাদিকরা তাকে (বাইডেন) প্রশ্ন করেছিল, ইরান সম্পর্কে আপনার কী ধারণা, আপনি কি ইরানে আঘাত হানবেন? আর তিনি (বাইডেন) বলেন, ‘না, যতক্ষণ পর্যন্ত ইসরায়েলের পারমাণবিক স্থাপনায় ইরান হামলা না চালাচ্ছে ততক্ষণ হামলা চালানো হবে না।
“এর মানে বাইডেন হামলা চালাতে চান, তাই তো?” উল্টো প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন ট্রাম্প।
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, “যখন সাংবাদিকরা তাকে এ প্রশ্ন করেছিল, তখন উত্তরটা হওয়া উচিত ছিল, ‘আগে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত করা হবে, বাকি বিষয়ে পরে ভাবলেও চলবে’।”
ইসরায়েলের দিকে প্রায় ২০০ ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জবাবে বুধবার ইরানের পরমাণু স্থাপনায় এ ধরনের হামলার বিরোধিতা করেন বাইডেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য নির্ধারিত বিমান এয়ার ফোর্স ওয়ানে ওঠার আগে বুধবার সাংবাদিকদের বাইডেন বলেন, “ইসরায়েলিরা কী করতে যাচ্ছে তা নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করব, তবে আমাদের (জি৭ দেশগুলোর প্রধানরা) সবাই একমত যে, তাদের প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার আছে, কিন্তু তাদের সমানুপাতিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো উচিত।”
তবে ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি নিয়ে খুব কমই কথা বলেছেন। কিন্তু তিনি এক বিবৃতিতে বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের এই সংকটের জন্য বাইডেন এবং হ্যারিসকে দায়ী করেছেন।