ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা আপাতত বন্ধ রেখেছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সৌদি সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়া।
তবে বিমান বাহিনীর এই অভিযান স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়েছে কি না— তা নিশ্চিত করেননি আইডিএফের কর্মকর্তারা। তেমনি গাজায় সম্ভাব্য স্থল অভিযান কবে থেকে শুরু হবে— সে সম্পর্কেও কোনো তথ্য দিতে চাননি তারা।
ধারণা করা হচ্ছে, সম্ভাব্য স্থল অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে বিমান হামলার মাত্রা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
প্রায় দুই বছর ধরে পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নেওয়ার পর গত ৭ অক্টোবর ভোররাতে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক-বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে একের পর এক রকেট ছোড়া শুরু করে হামাস এবং সূর্যের আলো ফোটার আগেই ইসরায়েলের দক্ষিণাংশের সীমান্ত বেড়া বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ওই ভূখণ্ডে প্রবেশ করে শত শত সশস্ত্র হামাস যোদ্ধা।
হামাসের হামলায় প্রথম দিনই ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন কয়েকশ ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক। এছাড়াও দেড় শতাধিক মানুষকে এদিন জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে গেছে হামাস। এই জিম্মিদের ভাগ্যে কী ঘটেছে— তা এখনও অজানা।
প্রাথমিক গোয়েন্দা তথ্য ও প্রস্তুতির অভাবে হামলার শুরুর দিকে খানিকটা অপ্রস্তুত থাকলেও অল্প সময়ের মধ্যে তা কাটিয়ে পূর্ণ শক্তিতে যুদ্ধের ময়দানে নামে ইসরায়েল এবং প্রথম দিন থেকেই গাজায় বিমান হামলা শুরু করেছিল আইডিএফের বিমান বাহিনী।
দুই পক্ষের যুদ্ধে গাজায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৬৭০ জন নিহত এবং ৯ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনের প্রতিরক্ষা বাহিনী। আর আইডিএফের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত হামাসের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক।
বস্তুত, ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ চলছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে।