ইয়েমেনে বড় ধরনের বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির বিদ্যুৎ কেন্দ্র, তেল স্থাপনা ও বন্দরকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
যদিও ইসরায়েলের দাবি, তারা হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ‘সামরিক অবস্থানে’ এই হামলা চালিয়েছে। ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের এই সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদে সম্প্রতি ইহুদি ওই দেশটিতে হামলা চালিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
মূলত দিন দুয়েক আগে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি। তবে ইসরায়েলের দাবি, ইয়েমেন থেকে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরায়েলে প্রবেশের আগেই আটকে দিয়েছে তারা। এরপরই হুথিদের অবস্থানে ইসরায়েলি এই হামলার ঘটনা ঘটল।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা ইয়েমেনের হুথি যোদ্ধাদের “সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে” আক্রমণ করেছে।”
বৃহস্পতিবার সকালে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজের আক্রমণ পরিকল্পনার অনুমোদনের পর গোয়েন্দা ও নৌবাহিনীর শাখার নির্দেশনায় বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান সম্প্রতি পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে এবং ইয়েমেনের গভীরে হুথি সন্ত্রাসী সরকারের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করেছে।”
ইসরায়েলের দাবি, “হামলা করা লক্ষ্যবস্তুগুলোকে হুথি বাহিনী তাদের সামরিক অভিযানের জন্য ব্যবহার করে আসছিল।”
অন্যদিকে হুথি-সমর্থিত আল মাসিরাহ টিভি চ্যানেল বলেছে, বৃহস্পতিবার ভোরে সানা এবং বন্দর শহর হোদেইদাহতে “আক্রমণাত্মক অভিযান” চালানো হয়েছে। এর মধ্যে সানায় “দুটি কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎকেন্দ্রকে লক্ষ্য করে” এই হামলা চালানো হযেছে। আর হোদেইদাহতে “শত্রুরা বন্দরকে লক্ষ্য করে চারটি আক্রমণাত্মক হামলা চালায় এবং একটি তেল স্থাপনাকে লক্ষ্য করে অন্য দুটি হামলার ঘটনা ঘটে” বলে আল মাসিরাহ রিপোর্ট করেছে।
ইয়েমেনের সংবাদ সংস্থা সাবা আরও বলেছে, হোদেইদাহকে লক্ষ্য করে হওয়া চারটি হামলা এবং রাস ইসা তেল কেন্দ্রকে লক্ষ্য করে হওয়া দুটি হামলায় সেখানকার কিছু কর্মচারী নিহত ও আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী ইয়েমেনের রাজধানী সানায় বন্দর এবং জ্বালানি অবকাঠামোসহ হুথি সামরিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছে।