ডেস্ক রিপোর্ট:
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, তথ্যে প্রবেশাধিকার সরকারি দপ্তরে কাজে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে এবং সঠিক তথ্য পাওয়া জনগণের অধিকার। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বস্তুনিষ্ঠতার স্বার্থে সঠিক তথ্য প্রদানে উদ্যোগী হতে হবে।
আজ(২৯ আগস্ট) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের তথ্য অধিকার আইন কর্মপরিকল্পনার বার্ষিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও ফিডব্যাক প্রদান সংক্রান্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউজিসি সদস্য ও বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউজিসি’র জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন।
প্রফেসর আলমগীর বলেন, অনেক সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতিবেদনের ওপর বিরাগভাজন হন। তাদের মতে, সাংবাদিকরা বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়নের তথ্য ও গবেষণা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রকৃত তথ্য যথাযথভাবে তুলে না ধরে নেতিবাচক সব বিষয় নিয়ে প্রতিবেদন করে থাকে। প্রকৃতপক্ষে, যেকোনো প্রতিষ্ঠানের অসঙ্গতি তুলে ধরাই গণমাধ্যমের দায়িত্ব বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান, অন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠান থেকে এটি আলাদা। এখানে সবকিছু স্বচ্ছ ও নিয়মমাফিক হতে হয়। নির্দিষ্ট সময়ে আবেদনকারীকে তথ্য প্রদান করলে কোনো অসন্তুষ্টি থাকবে না। তথ্য অধিকার আইন তথ্য প্রাপ্তির একটি হাতিয়ার, এটি জনগণের তথ্যপ্রাপ্তি সহজলভ্য করেছে। সেবা প্রত্যাশীদেরকে ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
প্রফেসর আবু তাহের বলেন, তথ্য অধিকার আইনের কারণে জনগণের কাছে সরকার দায়বদ্ধ। তথ্য অধিকার আইন সময়োপযোগী আইন। তদন্তনাধীন ও ব্যক্তির সুরক্ষা নিশ্চিত ও কিছু ব্যতিক্রম বিষয় ছাড়া সব তথ্য প্রদান করতে হবে। এতে প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও সুনাম বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি মনে করেন।
ড. ফেরদৌস জামান বলেন. তথ্য অধিকার আইনের ফলে সরকারি তথ্যে জনগণের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত হয়েছে। গোপনীয়তার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে তথ্য প্রদানে আন্তরিক হতে সবাইকে তিনি আহ্বান জানান।কর্মশালায় ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অধিকার আইনের ফোকাল ও বিকল্প ফোকাল পয়েন্টরা অংশগ্রহণ করেন।