দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক পিপলস ব্যাংক অব চীন (পিবিওসি) ঋণ কার্যক্রমে ধীরগতি আনতে দেশটির কিছু ব্যাংককে নির্দেশনা দিয়েছে। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
গত জানুয়ারিতে ঋণ বিতরণের পরিমাণ অনেক বেশি হওয়ার পর দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ নির্দেশনা জারি করেছে বলে জানিয়েছে বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিনটি ব্যাংক।
পিবিওসি ফেব্রুয়ারির শুরুতে আনুষ্ঠানিক এ নির্দেশনা দেয়। সেখানে বলা হয়েছে, ‘উপযুক্ত প্রবর্ধনের ওপর নির্ভর করে’ যেন ফেব্রুয়ারিতে ঋণ দেওয়া হয়।
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, অতি দ্রুত গতিতে ঋণ বিতরণ ঠেকাতে নতুন ঋণ বিতরণ ধীর গতি করতে বলা হয়েছে।
করোনা ভাইরাসের কঠোর বিধি-নিষেধের কারণে স্থবির হয়ে পড়ে চীনের অর্থনৈতিক কার্যক্রম। বিধি-নিষেধের কারণে ২০২২ সালে চীনের জিডিপির প্রবৃদ্ধি গত ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম হয়। কিন্তু বিক্ষোভের মুখে এসব নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হলে আবারও শুরু হয় অর্থনৈতিক কার্যক্রম।
জানা গেছে, বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়ার পর শুধুমাত্র ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণ ৪ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ইউয়ানে (৭১৩ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার) পৌঁছায়। এসব ঋণ বিতরণের সময় নিয়মনীতির ব্যত্যয় ঘটে।
চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত শুক্রবার অসঙ্গতি, অবৈধ প্রপার্টি ঋণ এবং ভোক্তা ঋণের অপব্যবহারের দায়ে পাঁচটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে একটি সূত্র জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানুয়ারিতে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকগুলোর কাছে একটি নির্দেশনা পাঠায়, সেখানে বলা হয় হিসাব রক্ষণের সুবিধার্থে জানুয়ারিতে পাস হওয়া কিছু লোন পরের মাসে যেন বুক করা হয়।
এদিকে এ বিষয়ে জানতে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনো জবাব দেয়নি।