রাশিয়ার হামলা প্রতিহতে গত কয়েক মাস ধরে যুদ্ধবিমান চেয়ে আসছে ইউক্রেন। তাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম দেশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) কিয়েভকে ৪টি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান দেওয়ার ঘোষণা দেয় পোল্যান্ড।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান শুক্রবার (১৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পোল্যান্ডের পর এবার ন্যাটোভুক্ত আরেক দেশ স্লোভাকিয়া ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সব মিলিয়ে তারা ১৩টি মিগ-২৯ বিমান ইউক্রেনকে দেবে।
বার্তাসংস্থা এপির বরাতে দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী এডোয়ার্ড হেগার এ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা ইতিহাসের সঠিক প্রান্তে আছি।’ এর আগে এক টুইট বার্তায় তিনি বলেছিলেন, ইউরোপ এবং ইউক্রেনকে রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে বাঁচানোর জন্য অব্যাহত সামরিক সহায়তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
স্লোভাকিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী জারোস্লাভ নাদ বলেছেন, যুদ্ধবিমান দেওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে স্লোভাকিয়া ২০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ পাবে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে তারা ৭০০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্রও পাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে ওয়াশিংটন তাদের কি অস্ত্র দেবে সেটি খোলাসা করা হয়নি।
গত গ্রীষ্মে স্লোভাকিয়া ছেড়ে চলে যান রাশিয়ার ইঞ্জিনিয়াররা। এরপর খুচরা যন্ত্রাংশ এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নিজেদের সোভিয়েত আমলের মিগ-২৯ বিমানগুলো চালানো বন্ধ করে দেয় তারা।
স্লোভাকিয়ার যুদ্ধবিমানগুলো ‘অকেজো’ অবস্থায় পড়ে থাকায় ন্যাটোভুক্ত দেশ পোল্যান্ড ও চেক রিপাবলিক দেশটির আকাশ নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয়। এ বছরের শেষ দিকে স্লোভাকিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষার দায়িত্বে যোগ দেবে হাঙ্গেরিও।
পোল্যান্ডের পর স্লোভাকিয়া যুদ্ধবিমান দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর এ নিয়ে ইউক্রেনের সংসদ সদস্যরা ব্যাপক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তারা আশা করছেন, এখন অন্য দেশগুলোও এগিয়ে আসবে।