নিজস্ব প্রতিবেদক:
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে চাঞ্চল্যকর জিমি বেগম হত্যা মামলায় পূর্বশত্রুতার জেরে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি ও নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই নির্যাতন ও হয়রানি থেকে রেহাই পেতে প্রধানমন্ত্রী, পুলিশের আইজিসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ দাবি করছেন নির্যাতিত কলেজছাত্রীসহ ভুক্তভোগী পরিবার।
গত রোববার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কলেজছাত্রী ঐশি বেগম বলেন, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানার পাইকদিয়া গ্রামে ২০২২ সালের ৩ জুলাই রাতে আমার স্বামীর বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলাম। এসময় হঠাৎ লোকজনের শব্দ শুনে আমার স্বামী হৃদয় মোল্লাকে ঘুম থেকে ডাক দেই। তিনি ঘর থেকে বের হয়ে বাড়ির গলিতে জিমি বেগম ও তার স্বামী নুর আলম মুন্সীকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। সেখানে আকবর আলী মজুমদার, বাকা মোল্লা, মাইনুদ্দিন মোল্লাসহ আরো প্রায় ১০/১২ জনকে দেখতে পাই। সেখানে সাইফুল শেখ নামের একজনকে দেখা যায়, ফেইসবুকে লাইভ প্রোগ্রামে চিৎকার করে নৃশংস হত্যার দায় আমাদের উপর চাপাচ্ছেন। তিনি যাদের নাম বলছিলেন, তারা কেউ ওই দিন গ্রামে ছিলেন না। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পরই থানার এসআই কামরুল পুলিশ নিয়ে আহতদের উদ্ধারের পর হাবিবুর রহমানের জিম্মায় মুকসুদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক জিমিকে মৃত ঘোষণা করেন। আর তার স্বামীকে ফরিদপুর হাসপাতালে পাঠায়। এসময় পুলিশ আমাকে ঘুম থেকে টেনে হিচড়ে ধরে নিয়ে যায়। অথচ আমি ২ মাসের সিজারিয়ান রোগী ছিল। এঘটনার পরের দিন আমাদের নামে মুকসুদপুর থানায় মিথ্যা মামলা নং- ৮ দায়ের করে। মামলায় মিজানুর, ফারুক, সেলিম রুহুল, রফিকুল ও অসিফ মোল্লাকে আসামি করা হয়। এদের রিমান্ডের নামে নিয়ে আমাদের কাছ থেকে নির্যাতনের ভয় দেখিয়ে অর্থও হাতিয়ে নেয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী হৃদয় মোল্লা দাবি করে বলেন, এই মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক। নুর আলমের ধারকৃত টাকা ও জামানতকৃত ব্যাংক চেকের বিরোধের কারণেই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে ঘাতকদের আড়াল করতেই আমাদের আসামি করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে পিবিআই তদন্ত করছেন। মামলাটি সুষ্ঠুভাবে তদন্তপূর্বক এই খুনের আসল খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও মিথ্যা মামলায় হয়রানি ও নির্যাতন হতে মুক্তির দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।