পাঞ্জাব প্রদেশে স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে আন্দোলনরত খালিস্তানি এক বিচ্ছিন্নতাবাদীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থা। একই সঙ্গে দেশটিতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের এক নেতার হত্যাকাণ্ড নিয়ে কানাডার সাথে ভারতের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মাঝে শনিবার ওই খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদীর সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছে বলে খবর দিয়েছে রয়টার্স।
দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য পাঞ্জাবের গুরপতবন্ত সিং পান্নুর মালিকানাধীন একটি বাড়ি এবং জমি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পরিচালিত সন্ত্রাস ও বিচ্ছিন্নতাবাদী নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে ভারতের চলমান পদক্ষেপের মাঝে পান্নুর বাড়ি এবং জমি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
গত সোমবার শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার পেছনে ভারত সরকারের হাত থাকতে পারে বলে প্রথম মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের একটি শিখ মন্দিরের বাইরে গত ১৮ জুন গুলি করে হত্যা করা হয় ৪৫ বছর বয়সী হরদীপ সিং নিজ্জারকে।
কানাডার হাউস অব কমন্সের সভায় প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো বলেন, কানাডার গোয়েন্দা সংস্থা শিখ নেতা নিজ্জারের হত্যার সাথে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতার ‘বিশ্বাসযোগ্য’ প্রমাণ খুঁজে পেয়েছে।
সেসময় তিনি আরও বলেন, ‘কানাডার গভীর উদ্বেগের কথা ভারত সরকারের শীর্ষ নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে। গত সপ্তাহে জি টুয়েন্টি সম্মেলনের মধ্যে বিষয়টি আমি ব্যক্তিগতভাবে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে স্পষ্ট করে দিয়েছি।’
কানাডার সাথে ভারতের কূটনৈতিক তীব্র উত্তেজনার মাঝে পান্নুর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে কানাডায় বসবাসরত হিন্দুদের দেশটি ত্যাগ করে ভারতে চলে যাওয়ার হুমকি দেন এই শিখ নেতা।
এর আগে, ২০১৯ সালে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থা পাঞ্জাব প্রদেশসহ ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে ভয়ভীতি ও সহিংসতা ছড়ানোর অভিযোগে পান্নুর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছিল। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে পান্নুর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেছিল এনআইএ। গত বছরের নভেম্বরে পলাতক অপরাধী হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়।