ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে তীব্র সংঘাত চলছে উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের। গত রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিওচিত্র প্রকাশ করেছে হামাস।
এক মিনিট ৩৮ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের সেই ভিডিচিত্রটিতে গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত ক্রসিংয়ের কাছে পৌঁছে গেছে ইসরায়েলি বাহিনী এবং সীমান্তের এপারে ঝোপের আড়ালে অবস্থান নিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ও রকেট ছুড়ছেন হামাস যোদ্ধারা।
ইরেজ সীমান্তের দৃশ্যটি ধারণ করা হয়েছে ড্রোন ক্যামেরায়। আর যোদ্ধাদের গুলি-রকেট ছোড়ার দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে তাদের পোশাকে স্থাপন করা ক্যামেরায়।
ভিডিওটি অবশ্য রোববারের, অর্থাৎ দু’দিন আগের। তখনও ইসরায়েলের স্থল বাহিনী গাজার ভূখণ্ডে প্রবেশ করেনি; কিন্তু পরের দিন সোমবার গাজায় ঢুকতে সক্ষম হয়েছেন ইসরায়েলি সেনারা।
হামাসের সামরিক বিভাগ আল কাসেম ব্রিগ্রেডের সেনারা ইতোমধ্যে মাটির ওপর ও ভুগর্ভস্থ সুড়ঙ্গে অবস্থান নিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর গোলাগুলির জবাব দিচ্ছেন।
গত ৭ অক্টোবর ভোররাতে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় গাজার নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস। সেদিন সীমান্তের বেড়া বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করেন শত শত প্রশিক্ষিত হামাস যোদ্ধা।
ইসরায়েলে ঢুকে প্রথমেই কয়েক শ বেসামরিক লোকজনকে নির্বিচারে হত্যা করেন তারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ২১২ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে ধরে নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা।
এ ঘটনায় সেদিন থেকেই গাজা উপত্যকায় বিমান অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেই সঙ্গে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় গাজার বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের বিমান বাহিনীর অভিযানে ৭ অক্টোবরের পর এ পর্যন্ত উপত্যকায় নিহত হয়েছেন ৮ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং এই নিহতদের ৪০ শতাংশ শিশু এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক। অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জনের কিছু বেশি ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক।
রোববার থেকে গাজায় বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল অভিযানও শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।