আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা উপেক্ষা করে মঙ্গোলিয়া সফরে গেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গোলিয়া আইসিসির সদস্য দেশ হওয়ায় তিনি সেখানে গ্রেফতার হবেন কি না সে বিষয়ে বেশ চর্চা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলানবাটরে পৌঁছান পুতিন। এ সময় তাকে গার্ড অব অনার দিয়ে স্বাগত জানানো হয়।
২০২৩ সালে আইসিসি তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার পর এটাই আন্তর্জাতিক আদালতের সদস্যভুক্ত কোনো দেশে পুতিনের প্রথম সফল। খবর তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।
এর আগে, দুইদিনের সফরে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) উলানবাটর বিমানবন্দরে পৌঁছালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেয় মঙ্গোলিয়া। রাজধানীর চেঙ্গিস খান স্কয়ার বা সুখবাতার স্কয়ারে বিপুলসংখ্যক মানুষ জড়ো হয় বিকেলে। এ সময় তারা রাশিয়া ও মঙ্গোলিয়ার পতাকা নিয়ে মিছিল করেন। পাঁচ বছর পর মঙ্গোলিয়া সফরে গেলেন পুতিন।
জাপানের বিরুদ্ধে সোভিয়ে ও মঙ্গোলিয়ার যৌথবাহিনীর বিজয়ের ৮৫তম বার্ষিকী উৎযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দু'দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মঙ্গোলিয়া যান পুতিন।
এদিকে, মঙ্গোলিয়ার সরকার পুতিনকে গ্রেফতারের আহ্বানের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে প্রেসিডেন্ট উখনাগিন খুরেলসুখের এক মুখপাত্র রবিবার জানিয়েছেন, মঙ্গোলিয়া সফরে গেলে পুতিনকে গ্রেফতাার করতে হবে- আইসিসি চিঠি পাঠিয়ে এমন কোনো নির্দেশনা দেয়নি।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত পুতিনকে যুদ্ধাপরাধের জন্য অভিযুক্ত করেছে। এই অভিযোগের বিষয়ে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর দেশটি থেকে অসংখ্য শিশুকে বেআইনিভাবে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়ায় দায় রয়েছে পুতিনের।
অপরদিকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্যভুক্ত একটি রাষ্ট্রে গ্রেপ্তারের পরোয়া না করে পুতিন কীভাবে সফর করবেন-বিষয়টি জানতে এই আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিল বিবিসি।
এ বিষয়ে আদালতের মুখপাত্র ডক্টর ফাদি আল-আবদুল্লাহ বিবিসিকে জানান, আদালত তার সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে মঙ্গোলিয়াসহ অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করে।
ডক্টর ফাদি আল-আবদুল্লাহ বলেন, অন্যান্য আইসিসি স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রের মতো মঙ্গোলিয়ারও সহযোগিতা করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ২০২৩ সালে পুতিনকে গ্রেফতারে যে আদেশ জারি হয়েছিল, সেটিও এই বাধ্যবাধকতার মধ্যে পড়ে।
গ্রেফতারি পরোয়ানা উপেক্ষা করে মঙ্গোলিয়ায় পুতিন