স্বাস্থ্য ডেস্ক:
গরমে যত সুন্দর জামাকাপড়ই পরুন না কেন ঘামে ভিজে যেতে পারে। ঘাম হওয়াটায় স্বভাবিক। যাদের প্রচুর ঘাম হয় তাদের শরীরে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। এই সমস্যা কখনো কখনো বিব্রতকর পরিস্থিতিতেও ফেলে মানুষকে। আবার অনেকেরই বগলে বেশি ঘাম হয়, যা দুর্গন্ধের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া কাপড়ে বগলের ঘাম লাগায় তা দেখতেও বিব্রতকর দেখায়।
যারা অত্যধিক ঘামেন তারা অবশ্য কয়েকটি কৌশল অবলম্বণ করে গরমে বগলের ঘাম ও দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এ বিষয়ে ভারতের ডা. কিরণ শেঠি কিছু টিপস দিয়েছেন, যা অনুসরণ করে এই গরমে আপনি ঘাম নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।
কেন প্রচুর ঘাম হয়?
এ বিষয়ে ডা. কিরণ তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জানান, অত্যধিক ঘামকে ডাক্তারি পরিভাষায় হাইপারহাইড্রোসিস বলা হয়। এই পরিস্থিতি দুটি কারণে ঘটতে পারে- শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কিংবা বাহ্যিক অবস্থার কারণে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া।
হাইপারহাইড্রোসিসের ক্ষেত্রে কী ঘটে?
কখনো কখনো হাইপারহাইড্রোসিস শরীরের একটি নির্দিষ্ট অংশকে বেশি প্রভাবিত করে। ফলে শরীরের নির্দিষ্ট কিছু অংশ অন্যান্য অংশের তুলনায় বেশি ঘামে। এর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ শরীরের অংশ হলো আন্ডারআর্মস। এছাড়া হাত-পায়েও অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা হতে পারে।
ডা. কিরণ অ্যান্টিপারস্পিরান্ট ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। খনিজ ভিত্তিক ও অ্যারোরুট পাউডার ভিত্তিক ডিওডোরেন্টকে সেরা বিকল্প হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি।
দিনে অন্তত দুবার এই অ্যান্টিপারস্পিরান্ট ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন এই চিকিৎসক। এছাড়া বগল ধোয়ার জন্য বেনজল ভিত্তিক ওয়াশ ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি, যা ঘামের দুর্গন্ধ কমাতে সাহায্য করবে।
অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা কমানোর আরও এক কৌশল জানিয়েছেন ডা. কিরণ। তিনি জানান, হাইপারহাইড্রোসিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা বোটক্স ও রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি চিকিৎসা নিতে পারেন।