ডাকাতি করতে আসার আগে গৃহস্থকে চিঠি দিয়ে জানাতো ডাকাত দল। লুটপাট করলেও বাড়ির নারী-শিশুদের কোনো ক্ষতি করতো না তারা। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাসে দেখা মিলেছিল এমন ‘মানবিক’ লুটেরাদের। কিন্তু তাই বলে বাস্তবেও! দিল্লির রোহিনীর বাসিন্দা এক বৃদ্ধের কিন্তু তেমনই অভিজ্ঞতা হলো।
বার্তা সংস্থা এএনআই’র খবরে জানা যায়, ৮০ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী এম রামাকৃষ্ণর বাড়িতে চোর ঢুকেছিল গত ২০-২১ জুলাই রাতে। কিন্তু সে একে তো কিছু নেয়নি, বরং যাওয়ার সময় উল্টো ৫০০ রুপির একটি নোট রেখে গেছে বৃদ্ধের জন্য।
জানা যায়, গত ১৯ জুলাই স্ত্রীকে নিয়ে গুরুগ্রামে ছেলের কাছে গিয়েছিলেন রামাকৃষ্ণ। ২১ জুলাই এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে ফোনে তার বাড়িতে চোর ঢোকার খবর পান। খবর পেয়েই বাড়িতে ছুটে আসেন বৃদ্ধ। এসে দেখেন, প্রধান গেটের তালা ভাঙা।
কিন্তু ভেতরে ঢুকেই তাজ্জব বনে যান রামাকৃষ্ণ। খেয়াল করে দেখেন, চোর কিছুই নিয়ে যায়নি। তবে দরজার কাছে একটি ৫০০ রুপির নোট পড়ে রয়েছে।
রামাকৃষ্ণ পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি ঘরে কোনো মূল্যবান জিনিসপত্র রাখেন না। তাই হয়তো চোর নেওয়ার মতো কিছু না পেয়েই ফিরে গেছে। এমনকি, ঘরের আলমারিগুলোও অক্ষত ছিল।
রামাকৃষ্ণর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সংশ্লিষ্ট ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে সেই ‘মানবিক’ চোরের বিষয়ে।