ডেস্ক রিপোর্ট:
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, তিনি এখনও লিভার জটিলতায় ভুগছেন। পাশাপাশি ডায়াবেটিসহ অন্যান্য রোগ তো আছেন। এগুলো ওষুধ দিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে।
বিএনপির চেয়ারপার্সনের একান্ত সচিব এবি এম আব্দুস সাত্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ম্যাডামের অবস্থা ভালো না। চিকিৎসকরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বাকিটা আল্লাহর হাতে।
বিএনপির নেতারা বলছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা মাঝে-মাঝে খুব বেশি খারাপের দিকে চলে যায়। যে কারণে বারবার করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়।
এর আগে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। পরে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে তাকে বিকেলে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি।
এদিকে আজ শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে আমার কাছে কোনো আবেদন আসেনি। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে। এরপর আমাদের কাছে মতামত চাওয়া হবে। যদিও বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে- খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনে তাকে স্থায়ী জামিন দিয়ে বিদেশে পাঠাতে সরকারের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
এবি এম আব্দুস সাত্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ম্যাডামকে বিনা শর্তে মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠাতে সরকারের কাছে আবেদন করেছি। এখন মিডিয়ায় কে কি বললো সেটা বোধগম্য নয়।
দীর্ঘ ১ মাসের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। এর আগেও বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে তাকে। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার অ্যানজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদ্যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন—খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও হৃদ্রোগে ভুগছেন। তার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণের পাশাপাশি ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত।