পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গত ৫ আগস্ট তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন ইসলামাবাদের একটি জেলা ও দায়রা আদালত। আজ (মঙ্গলবার) সেই দণ্ড স্থগিত করেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। এছাড়া এই মামলায় তাকে জামিনও দেন আদালত।
তবে পাক সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, ইমরান খান এখনই কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না। বর্তমানে পাঞ্জাবের অ্যাটোক কারাগারে বন্দি আছেন তিনি।
ডন জানিয়েছে, সম্প্রতি প্রতিষ্ঠিত সরকারি গোপন নথি আইন বিশেষ আদালত অ্যাটোক কারাগারে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। এতে ইমরানকে কারাগারেই আটক রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং আগামী ৩০ আগস্ট গোপন তারবার্তা প্রকাশ (সাইফার মামলা) মামলায় তাকে আদালতে উপস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে।
ইংরেজি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন সেই চিঠি প্রকাশ করেছে। অ্যাটোক কারাগারের সুপারিনটেনডেন্টের কাছে পাঠানো চিঠিতে বিশেষ আদালতের বিচারক হাসনাত মুহাম্মদ জুলকারনাইন বলেছেন, ‘অভিযুক্ত ইমরান খান নিয়াজি, পিতা ইকরামুল্লাহ খান নিয়াজি, ঠিকানা জামান পার্ক লাহোর— তাকে বিচারিক রিমান্ডে রাখার নির্দেশ দেওয়া হলো, যিনি ইতিমধ্যে বিভাগীয় জেলে আটক আছেন।’
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টার দিকে তোশাখানা দুর্নীতি মামলা স্থগিতের নির্দেশ দেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। আদালত তার রায়ে কারাদণ্ড স্থগিত এবং ইমরানকে জামিনে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। আদালত জানান, এই কারাদণ্ড কেন স্থগিত করা হয়েছে তার বিস্তারিত রায় আজই প্রকাশ করা হবে।
হাইকোর্টের আদেশের পর ধারণা করা হয়েছিল ইমরান খান কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন। পরে জানা যায়, এখনই বের হতে পারছেন না তিনি।