উত্তরপূর্ব আফ্রিকার দেশ মরক্কোতে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে ২৯৬ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। সঙ্গে ভূমিকম্পের প্রভাবে ধসে পড়েছে অসংখ্য বাড়ি-ঘর। আর ধসে পড়া বাড়ির নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধার এবং বাঁচাতে এখন হাতে করে ধ্বংসস্তূপ সরাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ১১টায় আটলাস পর্বতমালার কাছে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে বলে জানায় যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)। ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়েছিল মাটিতে থেকে মাত্র ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে। আর এটির স্থায়িত্ব ছিল ২০ সেকেন্ডের মতো।
ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুরাতন মারাখেস শহর ও পাহাড়ি অঞ্চলগুলো। রাতের আঁধারে ভূমিকম্প হওয়ায় এখনো পুরোপুরিভাবে উদ্ধার অভিযান শুরু করা যায়নি।
আরও পড়ুন>>> মরক্কোয় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯৬
তবে যেসব এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানেই যেতে পারছেন না উদ্ধারকারীরা। মরক্কোর রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল আল আওলা জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর আশপাশের সড়কগুলো ভেঙে গেছে বা ধ্বংসস্তূপ পড়ে আটকে গেছে।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া মারাখেস থেকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এর এক কর্মী জানিয়েছেন, তারা সবাই প্রথমে ঝাঁকুনি অনুভব করেন। এরপর দ্রুত নিচে নেমে আসেন। নিচে নেমে দেখেন অনেক মানুষ রাস্তায় চলে এসেছেন।
তিনি আরও জানিয়েছেন, দ্রুত বাইরে চলে আসার পর মানুষ প্রথমে বুঝতে পারেননি কি হয়েছে। কিন্তু একটু পর সেখানে আর্তনাত শুরু হয়। কারণ অনেকে দেখতে পান তারা বা তাদের পরিবারের সদস্যরা মারাত্মকভাবে জখম হয়েছেন।
সিএনএন-এর এ কর্মী আরও জানিয়েছেন, হতাহতের সংখ্যা এত বেশি আর গুরুতর ছিল যে, সবাইকে চিকিৎসা দেওয়াও সম্ভব হচ্ছিল না। এমনকি অ্যাম্বুলেন্সের ভেতর জায়গা না থাকায় এক নারীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।