গত কয়েক মাস ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। ২০২৩ সালের প্রথম দুই মাসেই ইতোমধ্যে প্রায় ৬০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। এর পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের হাতে নিহত হয়েছে ১০ ইসরায়েলি।
এখন আশঙ্কা দেখে দিয়েছে এই হামলা ও উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে। তবে উত্তেজনা যেন ছড়িয়ে না পড়ে সেটি নিশ্চিতে এগিয়ে এসেছে জর্ডান। দেশটির মধ্যস্থতায় রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) আলোচনায় বসছেন ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েলের কর্মকর্তারা।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, রোববারের বৈঠকটি হবে লোহিত সাগরের বন্দর নগরী আকাবে। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ছাড়াও বৈঠকটিতে অংশ নেবেন যুক্তরাষ্ট্র ও মিসেরের প্রতিনিধিরা।
গত বুধবার ফিলিস্তিনের নাবলুসে হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনারা। শুধুমাত্র ওইদিনই ইসরায়েলিদের গুলিতে ১১ জন প্রাণ হারান। ২০০০-২০০৫ সালের দ্বিতীয় ইন্তিফাদার পর যা একদিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর শুধুমাত্র পশ্চিম তীরে ১৭১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরায়েল। যা ২০০৬ সালের পর ফিলিস্তিনিদের জন্য সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী বছর ছিল। নতুন বছরে উত্তেজনা প্রশমিত হবে এমন আশা করা হলেও, সেটি উল্টো বেড়েছে।
জর্ডানের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘রোববারের এ রাজনৈতিক-নিরাপত্তা বৈঠকটি ইসরায়েলের একতরফা হামলা বন্ধে জর্ডান, ফিলিস্তিন এবং অন্যান্য দেশগুলোর প্রচেষ্টার অংশ। যে হামলা উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি করতে পারে।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, এ বৈঠকের আরেকটি উদ্দেশ্য হলো ফিলিস্তিনিদের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নেওয়া।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে অপর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিরা বৈঠকে বসছেন এটি অনেক বড় ব্যাপার। কারণ গত কয়েক বছরে এ ধরনের কোনো বৈঠক হয়নি।